শিল্পীর কল্পনায় এসআইএমপি ০১৩৬, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
পৃথিবী থেকে খুব দূরে নয়। সৌরমণ্ডল যে পরিবারের অংশ, সেই আকাশগঙ্গার মধ্যেই ভেসে বেড়াচ্ছে সে। চেহারা অতি বড়। এক গ্যাসীয় মহাজাগতিক বিস্ময় বলাই ভাল। কারণ চেহারায় বৃহস্পতিগ্রহ থেকে প্রায় ১৩ গুণ বড়। তবে একাই থাকে।
কোনও নক্ষত্রের সংসারের অংশ নয়। কোনও নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণও করছেনা। তবে নিজে ঘুরছে। একবার পুরো পাক খেতে তার লাগে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মত। অতি দ্রুত পাক খাওয়ার ফলে সেটিকে ভাল করে বিশ্লেষণ করতে সুবিধাই হয়েছে নাসা-র জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের।
যেহেতু এটি কোনও নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছেনা ও একাই ভেসে বেড়াচ্ছে, তাই একে গ্রহ বলতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এটির নাম দিয়েছেন এসআইএমপি ০১৩৬।
এই মহাজাগতিক দানবীয় বস্তুটি পৃথিবী থেকে খুব দূরে নেই। মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরে তার অবস্থান। একে পরীক্ষা করে এর আবহাওয়া সম্বন্ধে একটি অবাক করা তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এটির আবহাওয়ার কোনও স্থিরতা নেই। এর উজ্জ্বলতাও বদলে যেতে থাকে। কেবল এর মেঘকে পর্যালোচনা করে এর সম্বন্ধে কোনও ধারনায় পৌঁছনো সম্ভব নয়। কারণ এর মেঘের স্তরে বিভিন্নতা স্পষ্ট। তাপমাত্রারও রকম ফের রয়েছে তার নানা অংশে।
এমনকি তার কার্বন রসায়নেও নানা পরিবর্তন লক্ষণীয়। এসআইএমপি ০১৩৬-কে আগে চিনলেও তার এই খামখেয়ালি চরিত্র সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের ধারনা ছিলনা। জেমস ওয়েবের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এর এই অস্থির আবহাওয়া সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।