মঙ্গলগ্রহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
পারসিভিয়ারেন্স রোভার নামে নাসার রোবট যান একটি উঁচু জায়গায় অবস্থান করছে। মালভূমির মত স্থানটিকে টেবিলল্যান্ড বলে ব্যাখ্যা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সেখানেই পারসিভিয়ারেন্স একটি সর্পিল দিঘির দেখা পেয়েছে।
সেই সর্পিল দিঘির জল এখন আর সেই। তবে কোটি কোটি বছর আগে সেখানে জল বইত। সেই জলের হাত ধরে বয়ে যেত নানা খনিজ। জল একদিন উবে গেলেও সেসব খনিজ এখনও রয়ে গেছে মঙ্গলের মাটিতে।
যে সাপের মত পথে জল বয়েছিল সেই পথে এখন খনিজের সম্ভার দেখতে পেয়েছে রোভার। সেই সঙ্গে সে একটি অংশ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে।
সেই জায়গাই অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের। নাসার বিজ্ঞানীরা সেই জায়গাকে সবুজ বাগান নামে ডাকছেন। যদিও সেই নমুনা সংগ্রহের অপেক্ষায় থাকার পথে উৎফুল্ল হতে পেরেছেন তাঁরা। কারণ সে নমুনা সংগ্রহের খুব কাছে পারসিভিয়ারেন্স।
বিজ্ঞানীরা সেই সঙ্গে এটাও পরিস্কার করেছেন যে কোনও বাগান নয়, বরং সে অংশ পাথরেই ভরা। এটা ওই সর্পিল দিঘি পথের অংশ। প্রশ্ন হল সেক্ষেত্রে সবুজ বাগান ব্যাপারটা এল কোথা থেকে?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ওই দিঘিতে যেহেতু একসময় জল ছিল, তা সর্পিল পথে বয়ে যেত। তাই সেই জলের ছোঁয়ায় বয়ে আসা খনিজগুলি অনেক জায়গায় সবুজ রংয়ের হয়ে যায়।
এই সবুজ রংয়ের জন্য বিজ্ঞানীরা এই অংশের নাম সবুজ বাগান দিয়েছেন। যেখানে কোনও গাছপালা কিন্তু নেই। নেই কোনও ঘাসও। আছে কেবল প্রস্তরখণ্ড। যা উপরে থাকা খনিজ জলের ছোঁয়ায় একসময় সবুজ রং ধারণ করেছিল।