নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ক্যামেরায় এনজিসি ৫৬৪৩ নক্ষত্রপুঞ্জ, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
মহাকাশ মানেই তো বিস্ময়ের মহাসমুদ্র। যেখানে শুধুই পরতে পরতে চমক অপেক্ষা করে থাকে। যা সাধারণ মানুষ তো বটেই এমনকি বিজ্ঞানীদেরও হতবাক করে দেয়। অনেক আগেই মহাকাশে এক নক্ষত্রমণ্ডলীর কথা জানতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যার নাম লুপাস।
ল্যাটিন ভাষায় এই লুপাসের অর্থ হল নেকড়ে। মানে এই নক্ষত্রমণ্ডলী এমনভাবে নজর কাড়ে যে তারাগুলিকে একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করলে মনে হবে যেন একটি নেকড়ে।
সেটা কল্পনা করেই তার নাম নেকড়ে দেওয়া হয়। এই নক্ষত্রমণ্ডলী চেনা ছিল ঠিকই কিন্তু তার পেটের মধ্যে একটি ছায়াপথের সন্ধান এবার পাওয়া গেল। সন্ধান দিল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। যা পৃথিবী থেকে ৪০ মিলিয়ন মানে ৪ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে।
নেকড়ের পেটে থাকা এই ছায়াপথ অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের। এটি সর্পিল আকৃতির। এমন সর্পিল আকৃতির অগুন্তি ছায়াপথ রয়েছে। কিন্তু যে ছায়াপথটি হাবল দেখতে পেয়েছে তা যেমন বিশাল, তেমনই অতি উজ্জ্বল।
যাকে এখন বিজ্ঞানীরা এনজিসি ৫৬৪৩ নম্বর দিয়ে চিনছেন। এই ছায়াপথটির কয়েকটি বিষয় বেশ নজরকাড়া। যা বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে উল্লেখ করছেন।
এই ছায়াপথের ২টি সর্পিল বাহু স্পষ্ট নজর কাড়ছে। নীল তারা দিয়ে সর্পিল বাহু সুনিশ্চিত হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে লালচে খয়েরি ধুলোর মেঘ। আর রয়েছে গোলাপি অংশ। যা হল আদপে নতুন তারার জন্মের আঁতুড়ঘর। এই ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে একটি অতি উজ্জ্বল নিউক্লিয়াস। যা আবার একটি কৃষ্ণগহ্বর দিয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে।