নাসার যানের চোখে মঙ্গলের পাহাড়, ছবি – সৌজন্যে – ইউটিউব – @JPLraw
মঙ্গলে পা রাখার পর থেকে জেজেরো ক্রেটারেই ঘুরে বেড়িয়েছে নাসার রোবোটিক যান পারসিভিয়ারেন্স। জেজেরোর অতিকায় গর্তের আনাচকানাচ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছে। ৪ বছর ধরে সে কাজ করার পর সে উপরে উঠতে শুরু করে জেজেরোর খাড়াই ঢাল ধরে।
এই গর্তের তলা থেকে উপরে আসাটা খুব সহজ কাজ ছিলনা। ঢালে পদে পদে এমন সব পাথুরে জায়গার সামনে তাকে পড়তে হয়েছে যে একটু ভুল ত্রুটি হলে রোভারটি নষ্টও হতে পারত।
কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা তাঁদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক সময় রোভারকে পিছনে হাঁটিয়েও সব বাধা অতিক্রম করেছেন গত সাড়ে ৩ মাসে। এর মাঝে প্রায়ই দাঁড়িয়েছে নাসার যান। সেখানে নানা পরীক্ষা করেছে।
এমন করে এবার পারসিভিয়ারেন্স জেজেরোর গর্তের উপরে উঠে সেই গর্তের চারধারের কিনারার গা ঘেঁষা সর্বোচ্চ পাহাড়েও চড়ে গেল। যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন লুকআউট হিল।
লুকআউট হিল হল জেজেরোর উপরে কিনারা ঘেঁষা এমন এক পাহাড় যেখানে চড়ে মঙ্গলগ্রহের চারধারের অনেকটা যেমন দেখা যায়, তেমনই আবার জেজেরোর খাদ ধরে একেবারে তার তলদেশ পর্যন্তও সহজে নজর কাড়ে।
উচ্চতার কারণে এই সুবিধা। ফলে মঙ্গলগ্রহের একটা অংশকে ভাল করে দেখার জন্য এই লুকআউট হিলের তুলনা নেই। এবার পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গলের সেই মাটি পরীক্ষা করবে যা এই গ্রহের উপর গ্রহাণু আছড়ে পড়ারও আগে থেকে ছিল। ফলে মঙ্গলের আরও পুরনো ইতিহাসের খোঁজ পেতে পারেন বিজ্ঞানীরা।