নাসার চোখে মঙ্গলের মাটি, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
মঙ্গলগ্রহকে আরও ভাল করে চিনতে এখন লাল গ্রহের ব্রাইট অ্যাঞ্জেল নামে একটি জায়গায় অবস্থান করছে পারসিভিয়ারেন্স। এখানেই এর আগে এমন পাথর পেয়েছে সে যা মঙ্গলের চেনা পাথরের থেকে আলাদা। যে পাথরে রয়েছে নানা রংয়ের ছিটে।
এবার সেই ব্রাইট অ্যাঞ্জেলে পারসিভিয়ারেন্স দেখা পেল আরও কিছু আজব পাথরের। যে সব পাথরের গায়ে রয়েছে প্রচুর ভেনস বা শিরা উপশিরা।
শুধু তাই নয়, অনেক পাথরের খণ্ডেই ছোট ছোট উঁচু পাথর পাওয়া গিয়েছে। যেমন মাথা বা কপালে আঘাত লাগলে জায়গাটা ফুলে ওঠে, অনেকটা তেমন পাথর থেকে ফুলে ফুলে রয়েছে পাথরেরই অংশ।
কেন এমনটা হয়? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যখন কোনও পাথরের ওপর দিয়ে জল বয়ে যায়, তখন পাথরের মধ্যে থাকা নানা ধরনের খনিজ পাথরগুলির খাঁজে বা ফাটলে জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যায়। যা দেখলে পাথরের গায়ে সরু থেকে কিছুটা মোটা শিরার মত দেখতে লাগে। পাথরের গায়ে এমন দাগকে ভেন বলা হয়।
একইভাবে পাথরের গায়ে উঁচু হয়ে ওঠা গোলগুলিও আদপে খনিজই। ব্রাইট অ্যাঞ্জেলে এর আগেও যে পাথর দেখতে পাওয়া গিয়েছিল তা প্রমাণ করেছিল যে মঙ্গলগ্রহের ওই অংশ দিয়ে একটি নদী প্রবাহিত হত। যার জলের প্রভাবে পাথরগুলি বর্তমান রূপ নিয়েছে। এবারও তাই আরও একবার প্রমাণ হল। তবে এ নিয়ে আরও পরীক্ষা চলছে।