মহাকাশের অতিকায় গোলাপ, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এমন এক যন্ত্র যা কার্যত গভীর মহাশূন্য সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের ধারনাই বদলে দিয়েছে। এমন কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের মহাজাগতিক বিস্ময় সে তার চোখ দিয়ে দেখছে যে বিজ্ঞানীরাও সে তথ্য হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছেন। বদলে ফেলছেন তাঁদের পুরনো ধারনা।
সেই হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবার তার মহাকাশে দিনযাপন পালন করল উৎসবের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু মহাকাশে সে আর কি ধরনের উৎসব করবে?
উৎসবে কিন্তু হাবল মেতেছিল। আর তা মেতেছিল গোলাপ দিয়ে। মহাকাশে গোলাপ! অবাক করা কথা হলেও মহাকাশে ভেসে মহাকাশের গোলাপ দিয়েই উৎসবে মাতে হাবল। আর সেই উৎসবে তাকে মাতার ব্যবস্থা করে দিলেন বিজ্ঞানীরাই।
মহাশূন্যে যে কত কিছুই অজানা তা গুনে শেষ হওয়ার নয়। অজস্র নক্ষত্রপুঞ্জ মধ্যে এমন ২টি নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে যার একটি ছোট এবং একটি বড়। তারা একে অপরের গায়ে গায়ে লেগে আছে।
এর একটি বড় নক্ষত্রপুঞ্জ। যার নাম বিজ্ঞানীদের ভাষায় ইউজিসি ১৮১০। এটি কেমন যেন ঘূর্ণির মত করে রয়েছে। যা দেখে মনে হয় যেন গোলাপ। আর সেই গোলাপকে আরও গোলাপের মত করে তুলেছে অপেক্ষাকৃত ছোট নক্ষত্রপুঞ্জটি। যা বিজ্ঞানীদের কাছে ইউজিসি ১৮১৩।
এই ছোট নক্ষত্রপুঞ্জ তার মাধ্যাকর্ষণ ক্ষমতার জোরে তার ঠিক উপরে থাকা বড় নক্ষত্রপুঞ্জটিকে টানছে। আর সেই টানেই মহাশূন্যে একটি সুন্দর গোলাপের রূপ নিয়েছে এই জোড়া নক্ষত্রপুঞ্জ। যাকে মহাশূন্যের গোলাপ বলে ডাকছেন বিজ্ঞানীরা। সেদিকেই তাকিয়ে উজ্জ্বল সেই গোলাপের ছবি তুলেই উৎসবে মাতল হাবল।