কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে মহাকাশ, প্রতীকী ছবি
ছোট ছোট টুকরো। মানে ক্ষুদ্র টুকরো বলা যেতে পারে। কিন্তু তা অসংখ্য। গুনে শেষ হওয়ার নয়। এমন টুকরো দিয়ে তৈরি দানবের মত চেহারার সব স্তম্ভ একের পর এক ছুঁড়ে দেওয়া চলছে। মহাশূন্যে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে এই ক্ষুদ্র টুকরো দিয়ে গড়ে ওঠা দানব স্তম্ভগুলিকে।
বেশ কয়েকটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল মিলে এই কাণ্ড চালাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমন এক একটা স্তম্ভ ছিটকে বেরিয়ে আসছে যা ধাক্কা মারলে একটা আস্ত গ্রহ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যেতে পারে।
চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির এবং ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল মানমন্দির-এর যৌথ প্রচেষ্টায় এমন ১৬টি ব্ল্যাকহোলের খোঁজ মিলেছে যা এমন বিম ছুঁড়ে চলেছে।
এটাও মনে করা হচ্ছে এমনভাবে এই বিমগুলিকে মহাশূন্যে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে যা আশপাশের নক্ষত্রপুঞ্জগুলিকেও প্রভাবিত করছে। তার ক্ষতি করছে। বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন বিপরীত অভিমুখে ২টি করে এমন অতিকায় বিম প্রতিটি ব্ল্যাকহোল ছুঁড়ে দিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে যেমন অবাক বিজ্ঞানীরা, তেমনই চিন্তিতও। এই কৃষ্ণগহ্বরগুলি নেহাত নতুনও নয়। যে ব্ল্যাকহোলগুলি এই বিম ছুঁড়ছে সেগুলি কম করে ১ হাজার কোটি বছরের পুরনো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আবার এই বিমগুলি ছোঁড়ার ক্ষেত্রে একটা বড় সময়ের ব্যবধানে দিকও বদল করছে ব্ল্যাকহোলগুলি।