SciTech

খেতে গেলে সৃষ্টি হয় তীব্র ঝলকানি, অজানা রহস্যের কথা জানাল নাসা

মহাকাশেও খাওয়া দাওয়ার একটা ধরন আছে। কি খাওয়া হল বা কতটা খাওয়া হল তা বোঝা যায়। কীভাবে তা বোঝা যায় জানাল নাসা।

Published by
News Desk

প্রাণহীন কোনও কিছু যে খাওয়া দাওয়া করতে পারে তা কেউ বিশ্বাস করবেন না। প্রাণ নেই তো খাবেই বা কি, আর খাওয়ার দরকারই বা কি? কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন মহাশূন্যে যে ব্ল্যাকহোলগুলি রয়েছে তারা দিব্যি খাওয়া দাওয়া করে। কখন কেমন খাচ্ছে তাও জানা সম্ভব।

ফলে এটাও জানা সম্ভব যে তাদের খাওয়ার ধরনধারণ কেমন। নাসার স্পিলৎজার স্পেস টেলিস্কোপ তার কাজ শেষ করে এখন অবসরে। তবে তার পাঠানো কিছু ছবি নাসার বিজ্ঞানীদের ব্ল্যাকহোলের খাওয়া দাওয়ার ধরন জানতে সাহায্য করেছে।

কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা সেসব ব্ল্যাকহোল যখন নিঃশব্দে গ্যাস ও ধুলোর কুণ্ডলী গিলতে থাকে তখন তা জানতে পারা যায় কেবল আলোর ঝলকে। ব্ল্যাকহোল যখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ও ধূলিকণা একসঙ্গে গিলে ফেলে তখন তা গিলে ফেলার আগে একটা আশ্চর্য আলোর ঝলক তৈরি হয়।

কারণ তা অন্ধকার গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার আগে প্রচণ্ড গরম হয়ে যায়। যার জেরে আলো তৈরি হয়। সে আলো অতি তীব্র আলো। অনেক সময় যা একটা গোটা ছায়াপথের উজ্জ্বলতাকেও ম্লান করে দেয়।

আবার এমনও হয় যে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণে গ্যাস ও ধুলো নয়, বরং নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কম পরিমাণে ব্ল্যাকহোল খেতে থাকে। যা দেখা যায় আকাশগঙ্গা বা তার কাছের অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথে থাকা ব্ল্যাকহোলগুলির ক্ষেত্রে।

তারা অল্প পরিমাণে খেতেই থাকে। অল্প খাবার গেলার ঠিক আগেই আলোও কম তৈরি হয়। আর এভাবেই তাদের খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যায় ব্ল্যাকহোলগুলি।

Share
Published by
News Desk
Tags: NASA