গ্রহাণু ডিমরফোজ-এর গতিপথ, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
আসন্ন বিপদ এড়ানোর জন্য আগে থেকেই তৈরি থাকতে হয়। সেকথা মাথায় রেখেই নাসার এই পদক্ষেপ ছিল। যদি কখনও পৃথিবীকে ধাক্কা মারার জন্য তির বেগে ছুটে আসে কোনও গ্রহাণু, তবে তাকে ঠেকানোর উপায় আগে থেকেই তৈরি রাখতে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ডবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট পরীক্ষা করে নাসা।
ডিডাইমোস নামে একটি পৃথিবীর চেয়েও বড় চেহারার গ্রহাণুর চারধারে ঘুরতে থাকা ছোট গ্রহাণু ডিমরফোজ-কে তাক করে ডার্ট ছোঁড়ে নাসা। সেটি মহাশূন্যে গিয়ে সপাটে ধাক্কা মারে ৫৬০ ফুট চওড়া ডিডাইমোস-এর চাঁদ ডিমরফোজকে।
নাসা এরপর ডিমরফোজ-এর দিকে কড়া নজর রাখা শুরু করে। তার গতিপথ, চেহারা, গতিবিধি সবকিছুর দিকেই নজর রাখেন বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা জানালেন সেই ডার্ট-এর ধাক্কার জেরে কি হয়েছে।
নাসা জানাচ্ছে, ডার্ট নামে ওই নাসার যানের ধাক্কার জেরে ডিমরফোজ-এর চেহারা বদলে গেছে। আগে ছিল প্রায় গোলাকার একটি গ্রহাণু। এখন সেটি একটি আয়তক্ষেত্রের মত তরমুজের চেহারা নিয়েছে।
আগের চেয়ে অনেকটা বদলে গেছে তার চেহারা। সেই সঙ্গে ডিডাইমোস-কে একবার প্রদক্ষিণ করতে সে যে সময় নিত তাও গেছে বদলে।
প্রায় ৩৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড কম সময়েই এখন সে ঘুরে ফেলছে ডিডাইমোস-কে। তার মানে তার কক্ষপথও বদলে দিয়েছে নাসার ডার্ট। আগে সে গোলাকার ভাবে কক্ষে ঘুরত। এখন তার সেই কক্ষপথ আর গোলাকার নেই।