জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের চোখে মহাকাশের সবুজ দানব, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
গতবছর এপ্রিল মাসে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ১১ হাজার আলোকবর্ষ দূরে থাকা একটি গ্যাসের কুণ্ডলীর ছবি বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দেয়। যা মনে করা হয় একটি সুপারনোভা বা একটি নক্ষত্রের শেষলগ্নের সময় যে বিস্ফোরণ হয় এবং তারপর যে বিপুল গ্যাস ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরি হয়, তার ছবি।
কিন্তু সেখানে একটি সবুজ আলোর মত অংশ দেখতে পাওয়া যায়। যা বিজ্ঞানীদের একটু অবাক করে। তাঁরা সেটি ঠিক কি তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেন।
এরপর নানাভাবে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। অবশেষে নতুন বছরে পা দেওয়ার পর নাসা জানাল, ওই সবুজ আলোর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
যাকে গ্রিন মনস্টার বা সবুজ দানব বলে চিহ্নিত করা হচ্ছিল, তা আসলে ওই ধুলো ও গ্যাসের স্তূপের উপরিভাগের একটি অংশ, যা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ধুলো ঢেউয়ের কারণে সৃষ্টি হয়েছিল।
মহাশূন্যে এমন নানা তথ্যের আসল সত্য নাসার বিজ্ঞানীরা এভাবেই একের পর এক তুলে আনছেন মানুষের সামনে। শুধু নাসা বলেই নয়, বিশ্বজুড়ে যে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চা জোরকদমে শুরু হয়েছে, যে চর্চার অন্যতম ভারতও, সেখানকার বিজ্ঞানীরা মহাশূন্যের নানা তথ্যকে সামনে তুলে আনছেন।
প্রযুক্তি যে তথ্য হাতে তুলে দিচ্ছে তা পর্যালোচনা করে তার সত্যকে সামনে তুলে এনে মহাশূন্যের নানা অজানা তথ্য এভাবেই জানতে পারছে বিশ্ব।