কৃষ্ণগহ্বরের বিচিত্র রূপ, ছবি – সৌজন্যে – নিলস বোর ইন্সটিটিউট
এ এক অন্য সূর্যের কথা। পৃথিবী থেকে ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে যাকে তাঁদের একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে নজর করলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সেই ঝলমলে নক্ষত্রটি একটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলকে প্রদক্ষিণ করছিল। বিজ্ঞানীরা দেখেন, ওই সূর্যটি কৃষ্ণগহ্বরের একটি বিশেষ জায়গা দিয়ে যখনই যেতে যায়, তখনই তাকে গিলে ফেলে কৃষ্ণগহ্বর।
কৃষ্ণগহ্বর যে একাধিক নক্ষত্র গিলে নেয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কৃষ্ণগহ্বরটি সূর্যটিকে কিন্তু একেবারে গিলে নেয় না। বরং ফের উগরেও দেয়। তাই উজ্জ্বল নক্ষত্রটি হারিয়ে যায়। ফের ফেরত আসে।
এমন কাণ্ড চলতে থাকে। কিন্তু এই প্রতিটি গিলে ফেলায় প্রায় ৩টি পৃথিবীর মত অংশ ওই সূর্য থেকে হারিয়ে যায় কৃষ্ণগহ্বরে। অর্থাৎ কিছুটা অংশ প্রতিবার খোয়াতে থাকে ওই সূর্যটি।
এভাবে বারবার চলতে থাকে। কৃষ্ণগহ্বর তাকে গেলে আবার উগরে দেয়। এমন করতে করতে এক সময় সূর্যটিতে একটি বিস্ফোরণ হয়। তারপর সেটি শেষ হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীদের যেটা সবচেয়ে অবাক করেছে তা হল একটি নক্ষত্রকে বারবার গিলে নিচ্ছে একটি অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর। ফের সেটিকে উগরেও দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত এখন সৌরমণ্ডল বলেই নয়, তার চেয়ে অনেক অনেক দূরে অবস্থিত সব সৌরমণ্ডল, কৃষ্ণগহ্বর, নক্ষত্র, গ্রহাণু এবং মহাকাশের অনেক কিছুর ওপর নজরদারিতে অনেকটাই এগিয়ে গেছে মহাকাশ বিজ্ঞান। শক্তিশালী সব ক্যামেরা বা এক্স-রে ক্যামেরা যুগান্ত সৃষ্টি করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা