লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ছবি - আইএএনএস
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বুধবার রাত জেগে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আপামর জনতা। মহিলাদের রাত দখল এতটাই সর্বাত্মক যে তা গোটা দেশের সামনে নজির সৃষ্টি করেছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখলে নেমেছিলেন মহিলারা।
এই ঘটনা যে লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্থান পাবে তা নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন। আরজি করের নাম না করেও প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যগুলিকে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা নিয়ে আরও উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দেন।
মহিলাদের সঙ্গে কোনও অপরাধমূলক ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং দ্রুত সাজা সুনিশ্চিত করতেও বলেন প্রধানমন্ত্রী। কার্যত এমন ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথাই বলেছেন তিনি।
আর সেই সাজার বিষয়টিরও প্রচার করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে কেউ আগামী দিনে কোনও মহিলার সঙ্গে কিছু খারাপ করার কথা ভাবতেও ভয় পায়।
এদিন বাংলাদেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ চিন্তিত বলেও জানান।
এদিন লালকেল্লা থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। জানান যে আইন দেশকে ভাগ করে তা সমাজ থেকে দ্রুত ছেঁটে ফেলা উচিত।
এদিকে ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে বলেও এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী। কারিগরি নৈপুণ্যের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক আগে থেকেই উৎসাহ প্রকাশ করেন। তিনি এদিন বলেন, বিশ্বে কারিগরি নৈপুণ্যের রাজধানী হতে চলেছে ভারত।