প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ছবি - আইএএনএস
সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রতারক বলে আক্রমণ করেন তিনি। এমনও বলেন, ভোট এলেই প্রধানমন্ত্রী সেজে নেন। দাড়ি বড় করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেজে ফেলেন।
মণিপুরে গেলে সেখানকার টুপি পরেন, উত্তরাখণ্ডে গেলে সেখানকার। আবার পঞ্জাবে নির্বাচন থাকলে সেখানে পাগড়ি পরে নেন। এসব প্রধানমন্ত্রী গিমিক করার জন্য করেন বলেও দাবি করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। যাঁকে সকলে কেসিআর বলেই চেনেন।
এত সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে খুব কম বিরোধী নেতাকেই আক্রমণে যেতে দেখা গেছে ইদানিংকালে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী গত ৫ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে এলে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেননি কেসিআর।
প্রধানমন্ত্রী রামানুজাচার্যের বিশাল মূর্তি উদ্বোধনের সময়ও তিনি সেখানে উপস্থিতি ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে যান তিনি। কিন্তু এত কিছুর পরও প্রধানমন্ত্রী এদিন ফোন করেন কেসিআর-কে।
বৃহস্পতিবার কেসিআর ৬৮ বছর পূর্ণ করলেন। এদিন ছিল তাঁর জন্মদিন। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২ জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। যাকে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এতকিছুর পরেও সৌজন্য বলেই দেখছেন সকলে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ট্যুইট করেও শুভেচ্ছা জানান। কেসিআর-এর দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করেন। এটা যেন সেই লাইনটিকে ফের একবার মনে করাল, মেরেছ কলসির কানা, তা বলে কি প্রেম দেব না।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিন কেসিআরকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা