National

প্রধানমন্ত্রীকে ঘর দিতে রাজি হল না বিলাসবহুল হোটেল!

Published by
News Desk

রাজ্যে সপার্ষদ প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তাঁদের জন্য হোটেলে রুম বুক করতে হবে। তাই কর্ণাটক প্রশাসন গত রবিবার দ্বারস্থ হয়েছিল মাইসোরের দ্রষ্টব্য বিলাসবহুল হোটেল ললিতা মহল প্যালেসের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে ঘর দিতে তাঁরা অপারগ বলে জানিয়ে দিলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। ভাবছেন, কার ঘাড়ে কটা মাথা যে প্রধানমন্ত্রীকে ঘর দিতে অসম্মত হয়! এত বড় দুঃসাহস দেখানোর পর কি আদৌ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন হোটেলের মালিক? ভাববেন না, মাইসোরের ওই হোটেল ও তার মালিক দিব্যি নিশ্চিন্তে আছেন। কারণ, অকারণে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ঘর দেননি এমনটা নয়।

আসলে এখন বিয়ের মরসুম চলছে। বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হোটেল। মাইসোরের বিখ্যাত হোটেল ললিত মহল প্যালেসের অধিকাংশ কক্ষই বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ১৯ আর ২০ ফেব্রুয়ারি এই ২ দিন ধরে বিলাসবহুল হোটেলটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলবে। বাইরের লোকজনে ঠাসা থাকবে হোটেল চত্বর। আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকবেন হোটেল কর্মীরা। হোটেলর অধিকাংশ ঘরও বুক করে রেখেছেন এক ব্যবসায়ী, যাঁর পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে এখানে। তারপরও কয়েকটি ঘর ফাঁকা ছিল। কিন্তু তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চলবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তায় নিযুক্তদের থাকার বন্দোবস্তও করতে হবে। তাছাড়া হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান চললে সেখানে জেড প্লাস নিরাপত্তার বন্দোবস্তও ঠিকঠাক করা মুশকিল। এসব সমস্যার কথা হোটেল কর্তৃপক্ষ কর্ণাটক পুলিশ প্রশাসনকে বুঝিয়ে বলেন। সব দিক মাথায় রেখেই সম্মানীয় অতিথি নরেন্দ্র মোদীর মুখপাত্রকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী ও সঙ্গীসাথীদের থাকার জন্য শুরু হয় অন্য হোটেলের খোঁজ। অবশেষে মাইসোরের ‍‍‍র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে ব্যবস্থা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থাকার।

এই হোটেলটিও বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বুক করা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাড়াতাড়ি বিয়ের অনুষ্ঠান গুটিয়ে ফেলা হয় ওই হোটেলে। গত রবিবার কর্ণাটকের হাসান জেলায় জৈনদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরে র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলেই সপার্ষদ রাত্রিবাস করেন প্রধানমন্ত্রী। গত সোমবার ওই হোটেল থেকেই প্রধানমন্ত্রী রেলের একটি অনুষ্ঠান ও বিজেপির দলীয় সভায় যোগদান করেন।

Share
Published by
News Desk