World

এভারেস্টে মৃত্যু মোটেও ট্রাফিক জ্যামের জন্য নয়, দাবি নেপাল পর্যটনের

Published by
News Desk

এভারেস্টে এ বছর অভিযান শুরুর পর থেকেই মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ফলে কেন মৃত্যু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে বিদেশি সংবাদ মাধ্যম, সর্বত্র এজন্য এভারেস্টের ট্রাফিক জ্যামকে দায়ী করা হয়। এভারেস্টের চূড়া স্পর্শ করা এবং সেখান থেকে নামার সময় বহু মানুষের ভিড়ে পড়তে হচ্ছে পর্বতারোহীদের। ফলে উঠতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। নামতেও তাই। অনেকেই অত উচ্চতায় দীর্ঘ সময় থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাতেই মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের। অনেকের অক্সিজেন কম পড়ে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এসবের জন্য নেপালের পর্যটন মন্ত্রকের দিকেই আঙুল উঠেছে।

এভারেস্টে চড়ার জন্য নেপালের পর্যটন মন্ত্রকের কাছ থেকে পারমিট নিতে হয়। সেখানেই অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য দেদার পারমিট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে নেপাল সরকারের বিরুদ্ধে। এবার তার বিরুদ্ধে মুখ খুলল নেপালের পর্যটন মন্ত্রক। তাদের দাবি, দেশি ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমে তাদের সম্বন্ধে ভুল ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। এভারেস্টে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের কারও মৃত্যুর কারণই ট্রাফিক জ্যাম নয় বলে দাবি করে নেপাল পর্যটন মন্ত্রক দাবি করছে মৃত্যুর কারণ কারও ক্ষেত্রে অতি উচ্চতা জনিত অসুস্থতা অথবা অন্য কোনও শারীরিক ইস্যু। এর সঙ্গে ট্রাফিক জ্যামের কোনও সম্পর্ক নেই।

একটি খতিয়ান তুলে ধরে নেপাল পর্যটন মন্ত্রক দেখানোর চেষ্টা করেছে যে অন্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি পারমিট ইস্যু করা হয়েছে এমনটা নয়। তাদের দাবি, ২০১৭ সালে এভারেস্টে ওঠার জন্য ৩৬৬টি অভিযানের পারমিট দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে তার সংখ্যা ছিল ৩৪৬। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা ৩৮১টি। অর্থাৎ বিশাল কোনও ফারাক অন্যান্য বছরের সঙ্গে নেই। এবার ১১ জনের এখনও পর্যন্ত এভারেস্টে চড়তে বা নামতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts