SciTech

ধুলোমাখা অদ্ভুত সব পাথর, চাঁদ সম্বন্ধে অন্যকথা জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা

চাঁদ সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই জানতে পারছেন। এবার এমন কিছু ধুলোমাখা পাথরের দেখা পেলেন তাঁরা, যা চাঁদ সম্বন্ধে একদম নতুন কথা সামনে আনল।

Published by
News Desk

চাঁদকে চেনার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না বিজ্ঞানীরা। তারজন্য চাঁদে যান নামানো থেকে চাঁদকে চারধারে একটু দূরত্ব বজায় রেখে পরিক্রমা করা বা এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে টেলিস্কোপ কাজে লাগিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।

এবার একদল গবেষক চাঁদের গায়ে এমন কিছু পাথরের দেখা পেলেন যা আগে নজরে পড়েনি। সেগুলি ধুলোয় ঢাকা ছিল। প্রসঙ্গত চাঁদ পুরোটাই ধুলোয় ঢাকা। সে ধুলোর সঙ্গে পৃথিবীতে দেখা ধুলোর মিল নেই।

বরং সে ধুলো একদম অন্যরকম। ধুলোর তলায় রয়েছে চাঁদের জমি। এই ধুলোর কথা বিজ্ঞানীরা ১৯৬০ সাল থেকেই জানেন।

এটাও আগেই জানা গিয়েছিল যে চাঁদের জমিতে অস্বাভাবিকভাবে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সক্রিয়। রেইনার গামা নামে চাঁদে এমন একটা জায়গা রয়েছে যেখানে এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিধি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে।

এগুলো জানা থাকলেও এটা এতদিন জানা ছিলনা যে চাঁদের গায়ে পড়ে থাকা পাথরগুলিতে কোনওভাবে চৌম্বকীয় গুণ বর্তমান কিনা। এ বিষয়ে এতদিন অন্ধকারেই ছিলেন বিজ্ঞানীরা।

তবে এবার জার্মানির কয়েকজন গবেষক এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দেখেন যে চাঁদের পিঠে পড়ে থাকা কিছু পাথরের ওপর যে ধুলোর আস্তরণ রয়েছে তা অন্য অনেক পাথরের মত করে সূর্যকিরণকে প্রতিফলিত করছেনা। বরং সেখানে সূর্যের আলোকে প্রতিফলনের ধরনটা ভিন্ন। এই আবিষ্কার চাঁদ চেনার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

বর্তমানে চাঁদের চৌম্বকীয় ক্ষমতা সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের জ্ঞান সীমিত। এই আবিষ্কার আগামী দিনে চাঁদের চৌম্বকীয় ক্ষমতা, চাঁদের গায়ের তলায় থাকা অংশের ইতিহাস ও চৌম্বকীয় ক্ষমতা সম্বন্ধে জানতে প্রভূত সাহায্য করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk