অনেক পাখির বাসায় সিগারেটের টুকরো পাওয়া যায়, এর পিছনে রয়েছে চমকপ্রদ কারণ
কিছু পাখির বাসায় সিগারেটের অনেক টুকরো পাওয়া যায়। পাখিরা সিগারেটের টুকরো দিয়ে তো বাসা বানায় না। তাও সিগারেটের টুকরো থাকার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
পাখিরা ধূমপায়ী নয়। তারা সিগারেট পান করেনা। তবু কিছু কিছু পাখির বাসায় সিগারেটের ফেলে দেওয়া অংশ খুঁজে পাওয়া যায়। যাকে বলা হয় সিগারেটের বাট। পাখিরা সিগারেট তো খায়না, তাহলে ওগুলো কেন পড়ে থাকে সেখানে? এ প্রশ্ন মনে আসাটাই স্বাভাবিক। এমনও নয় যে বাসা বানাতে এই সিগারেটের বাট কাজে লাগায় তারা। তাহলে কি কারণে সিগারেটের বাট পড়ে থাকে পাখির বাসায়?
প্রতিটা পাখির বাসা বানানোর নিজস্ব কায়দা রয়েছে। কেউ বিভিন্ন ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে বাসা বানায়। কেউ আবার নিজে কোনও বাসা না বানিয়ে মানুষের তৈরি বাড়ির কোনও কোণে থাকার জায়গা খুঁজে নেয়।
অনেকসময়ই রাস্তাঘাটে দেখা যায় মানুষের ফেলে দেওয়া সিগারেটের বাট পাখিরা মুখে করে তুলে নিয়ে যায়। তুচ্ছ ব্যাপার মনে করে হয়ত অনেকেই সেই বিষয়ে মাথা ঘামান না।
আশ্চর্যজনকভাবে কিছু পাখি সিগারেটের ফিল্টারটুকুকে নিজেদের কাজে লাগায়। সেই কারণেই ফেলে দেওয়া বাটগুলি মুখে করে নিয়ে গিয়ে তারা বাসায় কাজে লাগায়।
শহরে থাকা পাখিদের ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি বেশি করে নজরে আসে। আসলে সিগারেটের ফিল্টারে নিকোটিন এবং অন্যান্য অনেক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা পাখিদের ডিম এবং বাসাকে বিভিন্ন পরজীবী ও বিষাক্ত কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা করে।
সেন্ট আন্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মেক্সিকোয় চড়াই এবং একটি হাউজ ফিঞ্চ পাখির বাসা পরীক্ষা করে জানান প্রতিটি বাসা থেকেই গড়ে ১০টির মত সিগারেটের ফিল্টার পাওয়া গেছে।
কীটপতঙ্গ থেকে বাসাকে রক্ষা করার জন্য সিগারেটের ফিল্টারের এই ব্যবহার পাখিরা করে থাকলেও তার অন্য একটি দিক সম্বন্ধেও সচেতন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফিল্টারে থাকা নিকোটিন পাখিদের জন্যও খুব একটা সুরক্ষিত নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা।













