জীবন বদলে দিল মাছি, রাতারাতি কয়েক কোটি টাকার মালিক যুবক
একটা মাছি কীভাবে একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে সেটা এই ঘটনা না ঘটলে হয়তো কারও মাথায়ও আসত না। বিশ্বের অন্যতম হতবাক করা ঘটনা ঘটাল একটা মাছি।

কথায় বলে কপালের জোর। জীবনে অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল কিছু ঘটলে তবেই মানুষ এই কথা বলেন। নয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের দুর্দশার জন্য ভাগ্যকেই দায়ী করেন সকলে।
৩৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ গল্ফ খেলোয়াড় টমি ফ্লিটউড কিছুদিন আগে আমেরিকায় অনুষ্ঠিত বিএমডব্লিউ গল্ফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই তাঁর সাথে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে। টমি একে নিজের কপালের জোর ছাড়া আর কিছুই বলতে চাইছেন না।
বিএমডব্লিউ গল্ফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রাউন্ডে টমি ফ্লিটউড একটি দারুণ শট মারেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে এই একটি শটেই কেল্লাফতে হয়ে যাবে। তাই শটটি মেরে তিনি নিশ্চিন্তে বলটির গর্তে ঢোকার অপেক্ষা করতে থাকেন।
বল গড়িয়ে গর্তের মুখে পৌঁছে যায় ঠিকই, কিন্তু গর্তে ঢোকে না। বলটি গর্তের কিনারায় এসে থেমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়ে পড়েন ওই ইংলিশ গল্ফার। তাঁর শরীরী ভাষায় হতাশা প্রকাশও পায়। আর ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় ঘটনাটা।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বদলে যায় সবকিছু। কারণ সামান্য অপেক্ষার পর বলটি হঠাৎ নিজে থেকেই গর্তে পড়ে যায়। তবে অকারণে গর্তে বলটি ঢোকেনি। দেখা যায় এর পিছনে রয়েছে একটি মাছি।
মাছিটি কোথা থেকে বলের ওপর উড়ে এসে বসে। তারপর সেটির ওপর হাঁটতে থাকে। মাছির ওই সামান্যতম ওজনেই বলটি নড়ে গর্তের কিনারা থেকে টুক করে গর্তে পড়ে যায়। ওই গর্তে বল ঢোকা টমিকে প্রতিযোগিতা জিতিয়ে দেয়।
মাছিটির জন্যই এই চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে কোটিপতি হয়ে যান ফ্লিটউড। পুরস্কার মূল্য বাবদ ডলারে যা পেলেন তা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি টাকার সমান।