মার্মোসেট, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
ডলফিন নিজেদের আলাদা নামে চেনে তা আগেই জানা গিয়েছিল। কিছু হাতির ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু তাদের বাদ দিয়েও জীবজগতে নামকরণের প্রচলন রয়েছে তা একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে।
মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী একটি বিশেষ প্রজাতির বাঁদররা তাদের মধ্যে আলাদা নামে পরিচিত হয়।
এদের দেখতে খুব সুন্দর বলে জানা ছিল। কিন্তু তারা যে এমন নিজেদের মধ্যে কথা বলতেও সিদ্ধহস্ত তা জানা ছিলনা। এই বাঁদররা মার্মোসেট বাঁদর বলেই পরিচিত।
মানুষ যেমন অন্য কাউকে ডাকার হলে তাঁর নাম ধরে ডাকেন, তেমনই মার্মোসেট বাঁদররা তাদের মধ্যে আলাদা করে কাউকে ডাকার সময় একটি বিশেষ আওয়াজ বার করে। সেই আওয়াজটা শুনেই অন্য একটি বাঁদর বুঝতে পারে যে তাকে ডাকা হচ্ছে। অন্য কাউকে নয়।
তার মানে প্রতিটি বাঁদরের জন্য আলাদা আলাদা শব্দ রয়েছে। সেটাই তাদের নাম। মার্মোসেটরা যেখানে একসঙ্গে থাকে সেখানে তারা একে অপরকে আলাদা শব্দ করে ডেকে নেয়।
বটলনোজ ডলফিনরাও এভাবেই হুইসিলের মত শব্দে কাকে ডাকছে তা পরিস্কার করে দেয়। সেই তখন সাড়া দেয়। আফ্রিকার হাতিদের ক্ষেত্রেও বিশেষ ধরনের আলাদা শব্দ আদপে আলাদা আলাদা হাতির নাম।
এভাবেই এই নামকরণের দুনিয়ায় যুক্ত হল মার্মোসেট বাঁদরদের নাম। তাই আলাদা আলাদা নামে পরিচিতি মানুষের একচেটিয়া নয়, অন্য প্রাণিরাও নিজেদের মধ্যে আলাদা নামে পরিচিত হয়। তবে মানুষের মত উচ্চারণ নয়, বিশেষ হুইসিলের মত শব্দই তাদের নাম।