মানা গ্রামে ভীম পুলে সরস্বতী নদী, ছবি - সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস
সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল এখানেই। এই ভারতের শেষ গ্রামে। বিশেষজ্ঞেরাও মেনে নিচ্ছেন একথা। এলাহাবাদের সঙ্গমে দেশের ৩ নদী একসঙ্গে মিশেছে। গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী। এর মধ্যে গঙ্গা ও যমুনা নজরে পড়লেও সরস্বতীকে দেখা যায়না।
সরস্বতী অন্তঃসলিলা হয়ে বয়ে যায় বলেই সকলের জানা। কিন্তু সেই সরস্বতী নদীর জন্ম হয়েছিল ভারতের শেষ গ্রাম হিসাবে পরিচিত মানায়।
এই মানাতেই দেবতাল থেকে সরস্বতী নদীর জন্ম বলে মনে করা হয়। তাই মানায় যে জলস্রোত বয়ে চলে তাকে সরস্বতী বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এটা মনে করা হয় সরস্বতী নদী যেহেতু মাটির তলা দিয়ে বয়ে যায় তাই তাকে কেউ দেখেনি। কিন্তু মানায় গেলে সরস্বতীকে দেখাও যায় বলেই বিশ্বাস।
এই মানাতেই রয়েছে ব্যাস গুহা। কথিত আছে এই গুহাতেই বসে বেদব্যাস যখন বেদের মন্ত্র জোরে জোরে পাঠ করছিলেন এবং গণেশ তা লিপিবদ্ধ করছিলেন, তখন সরস্বতী নদীর বয়ে যাওয়া জলের আওয়াজে বেদব্যাসের মন্ত্রপাঠে বিঘ্ন হচ্ছিল। তাই তিনি রেগে গিয়ে সরস্বতী নদীকে অভিশাপ দেন।
অভিশাপ দেন সরস্বতী নদীকে কেউ কখনও দেখতে পাবেনা। সেই থেকেই সরস্বতী নদী অন্তঃসলিলা বলে মানুষের বিশ্বাস। এই বেদব্যাস গুহা দেখতেও পর্যটকরা ভিড় জমান মানায়। ভিড় হয় গণেশ গুহাতেও।
মানায় একটি নদী বয়ে যাচ্ছে যাকে স্থানীয়রা সরস্বতী বলেই মনে করেন। যা পরে গিয়ে অলকানন্দা নদীতে গিয়ে মিশেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা