Categories: State

সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে টাটাদের মোটর কারখানা গড়ার ডাক মুখ্যমন্ত্রীর

Published by
News Desk

সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে ফের টাটাদের গাড়ি কারখানা গড়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জমিটা সিঙ্গুরে নয়। গোয়ালতোড়ে রাজ্য সরকারের ল্যান্ড ব্যাঙ্কের তালিকাভুক্ত প্রায় হাজার একর জমি রয়েছে। সেখানেই টাটাদের নতুন করে গাড়ি শিল্পে বিনিয়োগের জন্য মঞ্চ থেকে খোলাখুলি প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাবার জন্য একমাসের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ইচ্ছুক হলে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র অথবা মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সত্বর যোগাযোগের পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু টাটা নয়, বিএমডবলিউকেও রাজ্যে গাড়ি শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের পানাগড়, খড়গপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পের জন্য জমি দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। হাওড়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৩০০ একর জমি রয়েছে। সেখানেও চাইলে যে কেউ শিল্প গড়তে পারে বলে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শেষ বিকেলে বক্তব্য রাখতে উঠে মহাশ্বেতাদেবীর স্মৃতিচারণ দিয়েই বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর আন্দোলন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পালাবদলের একটা অন্যতম অধ্যায়। সিঙ্গুরের আন্দোলন যে সঠিক ছিল তাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থেকে স্পষ্ট। তাই এদিন শুরুতে তাঁর সেই ঐতিহাসিক সিঙ্গুর আন্দোলনের দিনগুলোর কথা, সেদিনের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরে জমি ফেরতের সিদ্ধান্তকে ল্যান্ডমার্ক সিদ্ধান্ত হিসাবে ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরের কৃষকদের চেক ও জমির পরচা ফেরত দেওয়া যে দ্রুততায় সম্পন্ন হচ্ছে তার তারিফ করেন। এমনকি যেসব কৃষক জমি ফেরত পাওয়ার পর জমিকে চাষযোগ্য হিসাবে গড়ে তুলতে চান তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বস্ত করেন সরকার তাঁদের জমিকে চাষযোগ্য করে তোলায় সবরকম সহযোগিতা করবে। সেচের জলের জন্যও সেচ দফতর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে জানান তিনি। জমি ফেরত পাওয়ার পর সেখানে চাষ করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে পরিবার পিছু দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে জানান কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কাস্টমস হায়ারিং সেন্টার গড়ে সেখানে কৃষকদের ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুযোগও করে দেবে সরকার। তাছাড়া উন্নত ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্তও করা হবে। এই ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটায় প্রতিবছর এখানে সিঙ্গুর দিবস পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা করতে গিয়ে ‌যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মরণে একটি স্মারক তৈরি করার প্রস্তাবও দেন তিনি।

Share
Published by
News Desk