State

মহুয়া মৈত্রকে কড়া ভাষায় শাসন করলেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে প্রশাসনিক সভায় দাঁড় করিয়ে কড়া ভাষায় শাসন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে দিলেন দলীয় বার্তা।

Published by
News Desk

মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁর কার্যকলাপে খুশি নন তা দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল। কৃষ্ণনগরে দলের প্রশাসনিক বৈঠকে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে দাঁড় করিয়ে কড়া ভাষায় শাসন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সাফ জানিয়ে দিলেন কোনও অন্তর্কলহ তিনি বরদাস্ত করবেননা। ভোটের সময় কে টিকিট পাবেন তা দল স্থির করবে। কাউকে সাজিয়ে পাঠিয়ে সে খবর সংবাদপত্র বা মিডিয়ার কাছে দিয়ে এই রাজনীতি একদিন চলে, প্রতিদিন নয়।

বেশ কিছুদিন ধরেই নদিয়ায় তৃণমূলের অন্তর্কলহ চরমে উঠেছিল। মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, নদিয়া উত্তর জেলা তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত সাহার মনোমালিন্যের কথা এখন অনেকের জানা হয়ে গেছে। তাঁদের এই কলহ আখেরে যে দলের ক্ষতি করছে সেকথা বারবার বিভিন্ন দলীয় মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কানেও পৌঁছেছে।

হয়তো প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জেলার সব নেতাদের সামনেই মহুয়া মৈত্রকে কড়া ভাষায় শাসন করে অন্যদের কাছেও তাঁর বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা।

এদিন জয়ন্ত সাহাকেও দাঁড় করিয়ে কড়া ভাষায় শাসন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানান, পুলিশ জয়ন্তবাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। কতটা কি সাজিয়ে হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী জানেন।

সবাই যেন মিলেমিশে কাজ করেন আগামী দিনে তা স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অন্তর্কলহ দলের সার্বিক ক্ষতি করে। যার প্রভাব ভোটে পড়ে।

এদিকে সামনেই অনেক পুরসভায় ভোট রয়েছে। ফলে তার আগে ঘর গোছানো জরুরি। সব ঝগড়াঝাঁটি মিটিয়ে দলের সব নেতাকে এক হয়ে কাজ করতে হবে বলেই এদিন জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলে তার প্রভাব ভোটে পড়তে বাধ্য। এমনকি অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও থেকে যায়। সে সুযোগ যে তিনি দিতে রাজি নন তা এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে স্পষ্ট।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts