ফাইল : নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি - আইএএনএস
গত বুধবারই দেশের ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই বিলগ্নিকরণের কথা ঘোষণা করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ভারত পেট্রোলিয়াম, কনকর, শিপিং কর্পোরেশন, টিএইচডিসিএল ও নিপকো। এরমধ্যে ভারত পেট্রোলিয়াম ও শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার বেচে দেওয়া হবে। কনকরের সব শেয়ার বিক্রি করা হবেনা। তবে নিয়ন্ত্রণও সরকারের হাতে আর থাকবেনা। বাকি নিপকো ও টিএইচডিসিএল সংস্থা ২টিকে বেচা হচ্ছেনা। এগুলির নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হবে অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি-র হাতে।
এই ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে কেন্দ্রের এই বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অনেকে। যদিও এটা অনেকে মেনে নিচ্ছেন দেশের অর্থনৈতিক যা পরিস্থিতি তাতে তা সামাল দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের হাতে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। আর তা এই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা হলেও উঠে আসবে। আর এখানেই পাল্টা মত পোষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এভাবে হয়তো সাময়িক একটা সমাধান সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এভাবে চলতে থাকলে একদিন গোটা দেশ বিলগ্নিকরণ হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ৫ সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে তিনি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকারও পরামর্শ দেন। তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত দেশের আর্থিক সমস্যা দূরীকরণের কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারেনা। বরং তিনি দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা মেটাতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কেন্দ্রকে আলোচনার প্রস্তাব দেন। সেইসঙ্গে জানান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। সেদিকেই সরকারের নজর দেওয়া উচিত।