আলোর দরকার নেই, রাজপথে আঁকা লাইনই সন্ধের পর পথ দেখায়, এটাই কি ভবিষ্যৎ
রাজপথ বা হাইওয়েতে সন্ধে নামলে রাস্তা দেখার জন্য আগামী দিনে আর বিদ্যুতের আলোর দরকার পড়বে না। রাস্তায় আঁকা রংই আলোকিত করবে। তবে এটাই কি ভবিষ্যৎ?
রাস্তায় যেতে গেলেই নজরে পড়ে কালো পিচ ঢালা রাস্তায় সাদা মোটা দাগ। যা রাস্তা ভাগ করা, গাড়ি চালকদের নির্দিষ্ট পথ দেখানো নিশ্চিত করে। এই সাদা দাগ তো সকলেই দেখেছেন। সন্ধে নামলে রাস্তার ২ ধারে বা মধ্যখানে সারি দেওয়া বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে ওঠে। যা চালকদের পথ দেখতে সাহায্য করে।
এই সাদা রং বদলে এক অন্য ধরনের রং বেশ কিছু রাস্তায় করেছিল মালয়েশিয়া। সেই দাগ ছিল একটু সবুজ রংয়ের। বিশেষ ধরনের রাসায়নিক দিয়ে তৈরি এই দাগ সন্ধে নামলে আলোর মত জ্বলতে থাকে। সবুজ রং ধরে সেই আলোয়।
সারাদিন সূর্যের উত্তাপ শুষে নেয় এই দাগ। সেই উত্তাপকে কাজে লাগিয়েই এই রং সন্ধে নামলে জ্বলতে থাকে আলোর মত। পথ দেখায় গাড়ি চালকদের। মোটামুটি ১০ ঘণ্টার মত এই দাগ আলোর মত জ্বলতে পারে।
এটা ব্যবহার শুরুর পর সেই রাস্তায় আর পথের পাশের আলোর দরকার পড়ছে না। এই আলোই পথ দেখাচ্ছে। একটা রং রাস্তাকে ঝলমল করে তুলছে। তাহলে তো বিদ্যুৎ বাঁচছে। চালকদেরও এই আলোয় সুবিধা হচ্ছে গাড়ি চালাতে। তারপরেও এই দাগ ভবিষ্যতের রাস্তার আলো হয়ে উঠতে এখনও পারেনি।
এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ অর্থ। সারা বিশ্ব জুড়ে রাস্তায় ব্যবহার হওয়া সাদা রংয়ের চেয়ে এই রংয়ের খরচ কম করে ২০ শতাংশ বেশি। মালয়েশিয়ার আবহাওয়ায় এই রং দেখা গেছে দেড় বছরের বেশি টিকছে না। ক্রমে বৃষ্টি, রোদ সহ্য করে আলো হালকা হয়ে যাচ্ছে।
ফলে ফের রং করার প্রয়োজন পড়ছে। এভাবে খরচ অত্যধিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে হাল ছাড়ছেন না তাঁরা। রাস্তার দাগকে এভাবে অন্ধকারের আলো করে তোলার জন্য আরও গবেষণা চলছে। যাতে এর স্থায়িত্ব বাড়ানো যায়। খরচও কম হয়।












