National

গান্ধীজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে মোদী, মমতার গলায় প্রায় এক সুর

Published by
News Desk

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর হাওয়া কিছুটা হলেও গান্ধী জয়ন্তীকে ভুলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দেশ জুড়েই এদিন পালিত হচ্ছে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী। যেখানে সামিল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন রাজ ঘাট-এ মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। পরে তিনি ট্যুইট করে গান্ধীজির শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বাণীর কথা মনে করিয়ে দেন। দরিদ্রতম মানুষের উত্থানে গান্ধীজির আদর্শের কথা মনে করান প্রধানমন্ত্রী। জানান, গান্ধীজির আদর্শের কথা মাথায় রেখে তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করার লক্ষ্যে আরও কঠোর পরিশ্রম করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী গান্ধীজির আদর্শের কথা বলছেন, তখন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান্ধীজির অহিংসার বাণীর কথা মনে করিয়ে দেন। আর সেই প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেঁধেন তিনি। বলেন তিনিই প্রকৃত শাসক যিনি ধর্মের ভিত্তিতে হিংসাকে প্রশ্রয় দেন না। অন্যদের দেশনায়ক হওয়ার অধিকার নেই। গান্ধীজির ওপর গবেষণায় গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে জানান সামনের এক বছর ধরেই গান্ধীজিকে নিয়ে নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এদিন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ২ জনের বক্তব্যেই গান্ধীজির অহিংস নীতি, শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা উঠে এসেছে।

মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। গান্ধী জয়ন্তীকে সামনে রেখে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার রীতি রয়েছে। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে ৬০০ জন বন্দিকে এদিন মুক্তি দেওয়া হয়। গান্ধীজির আদর্শের কথা জানাতে বিভিন্ন জায়গায় এদিন বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts