জলে ভেসে ২০ দিনে বাংলা থেকে বারাণসী, মাঝে অফুরন্ত আনন্দ, এলাহি থাকা খাওয়া
ট্রেনে বা বিমানে চট করে পৌঁছনো নয়। গঙ্গার বুকে ভেসে চলা এলাহি আনন্দের অভিজ্ঞতা। তাও টানা ২০ দিন। মাঝে একের পর এক পর্যটনস্থল ঘুরে দেখা।
যাঁরা একটু ফুরসতে গঙ্গার বুকে ভেসে এগিয়ে যেতে চান অনেকটা পথ। পৌঁছে যেতে চান কলকাতা থেকে বারাণসী বা বারাণসী থেকে কলকাতা, তাঁদের জন্য গঙ্গার বুকে ভেসে এক অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ এবার হাতের মুঠোয়।
কলকাতা থেকে ভেসে পড়া এক বিলাসবহুল ক্রুজে পৌঁছনো যাবে বারাণসী। ১৯টি রাত ও ২০ দিনের এই সফরে গঙ্গার বুকে ভেসে চলার এক অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন সকলে। মন ভরে উপভোগ করবেন গঙ্গার বুকে সকাল থেকে রাত। গঙ্গার ২ ধারের জনজীবন ও প্রকৃতি।
এই ক্রুজের নাম দেওয়া হয়েছে বেঙ্গল গঙ্গা। গতবছর গঙ্গা বিলাস নামে এক রিভার ক্রুজের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যা বারাণসী থেকে অসমের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাতায়াত করবে। ৫১ দিনের সেই সফরে ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার জলপথে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ২৭টি নদী পার করে এই বিলাসবহুল ক্রুজটি।
সেই পথে হেঁটেই এবার গঙ্গার বুকে আর এক রিভার ক্রুজ ভেসে পড়ার অপেক্ষায়। কলকাতার মল্লিক ঘাটের কাছ থেকে যাত্রা শুরু করে বেঙ্গল গঙ্গা কালনা, মাতিয়ারি, মুর্শিদাবাদ, বাতেশ্বরথান, সুলতানগঞ্জ, মুঙ্গের, সিমারিয়া, পাটনা, বক্সার এবং গাজিপুরে নোঙর করবে।
তারপর সেখানকার দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরিয়ে দেখানো হবে অতিথিদের। বারাণসী পৌঁছে সেখানে দশাশ্বমেধ ঘাটের সন্ধ্যারতি, বাবা বিশ্বনাথের মন্দির, সারনাথও ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন তাঁরা।
বেঙ্গল গঙ্গা একটি বিলাসবহুল ক্রুজ। যেখানে থাকছে অতিথিদের থাকার জন্য সুইট। একা কেউ যান বা পরিবার নিয়ে, এজন্য ৩টি ধরনের ভাগ থাকবে সুইট। এছাড়া নিরামিষ ভোজন সহ আন্তর্জাতিক খাবারের ব্যবস্থা থাকছে অতিথিদের জন্য।
এছাড়াও নানা সুবিধা উপভোগ করতে করতেই ২০ দিনের এই ভ্রমণ এক চিরদিনের অভিজ্ঞতা হয়ে থেকে যেতে পারে পর্যটকদের মনে। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই পুরো বন্দোবস্তের আয়োজন করেছে সংস্থা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













