World

টানা খরায় প্রায় শুকিয়ে গেল অতিকায় হ্রদের জল, আতান্তরে আড়াই কোটি মানুষ

পানীয় জল থেকে শুরু করে, স্থানীয় শিল্পক্ষেত্রের জল বা কৃষিকাজের জল, সবই যেত এই অতিকায় জলভাগ থেকে। যা এখন শুকিয়ে যাওয়ার দোরগোড়ায়।

Published by
News Desk

জল ছাড়া জীবন অসম্ভব। তাই ৩টি শুকনো ভূভাগের জন্য একটি এই অতিকায় লেকই ছিল ভরসা। সেই লেকের জল গত ২০ বছরে অনেকটাই শুকিয়ে গেল। এতটাই শুকিয়ে গেছে যে এখন জল পড়ে আছে তলানিতে।

চারিধারে পাহাড় দিয়ে জলাধারটি ঘেরা ছিল। এখন পাহাড়ের গায়ে সাদা দাগ দেখে বোঝা যায় কোথায় ছিল জল, আর কোথায় নেমেছে।

পাহাড়ের গায়ে সাদা দাগ দেখে জলে থাকা খনিজের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যা দেখে হুহু করে উঠছে স্থানীয়দের মন। আগামী দিনে তাঁদের জলের যোগান কোথা থেকে আসবে তা ভেবেই মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছে তাঁদের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ও নেভাডা সীমান্তে রয়েছে সে দেশের সবচেয়ে বড় লেক মিড। মিড জল পায় কলোরাডো নদী থেকে।

১৯৩০ সালে এই হ্রদ তৈরি করা হয়েছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উঁচুতে। চারিধারে পাহাড় দিয়ে ওই বিপুল জলকে আটকে রাখা হয়েছিল।

সেখানে অনেক নৌকা চলত। সেসব এখন বন্ধ। জলের স্তর যেখানে এসে ঠেকেছে তাতে নৌকা চলতে পারেনা। মানুষ সেখানে হেঁটে চলে দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারেন।

অ্যারিজোনা, নেভাডা, ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এই মিডের জলের ওপর ভরসা করে আছেন। আর সেই হ্রদই এখন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। যা কীভাবে রোখা যাবে তাও বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। তাই অশনিসংকেতে প্রমাদ গুনছেন স্থানীয় মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk