ক্রিস্টেন বেল, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
একরকম মরিয়া হয়েই সেদিন নিজের জামা খুলে ফেলেছিলেন তিনি। তারপর সোজা গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামীর সামনে। উন্মুক্ত স্তন স্বামীর সামনে ধরে তাঁকে স্তন্যপান করতে অনুরোধ করেছিলেন।
স্ত্রীর এমনভাবে আচমকা পোশাক খুলে উন্মুক্ত বক্ষে সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়া বা এমন স্তন্যপান করার প্রস্তাবে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও তারপর স্ত্রীর কথা মেনে স্তন্যপান করেন স্বামী।
তখন তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান সবে জন্মেছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই স্তন্যদুগ্ধ স্বামীর মুখ ভরে দিচ্ছিল। তিনি বার বার স্তন্যপান করে মুখে আসা দুধ একটি পাত্রে ফেলে দিচ্ছিলেন। তারপর ফের স্তন্যপান করছিলেন।
এমনভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলার পর অনেকটা স্বস্তি বোধ করেন স্ত্রী। স্বামীকে এভাবে স্তন্যপান করে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদও জানান।
বিখ্যাত হলিউড তারকা অভিনেত্রী ক্রিস্টেন বেল নিজেই একথা জানিয়েছেন। বিস্তারিতভাবেই তিনি জানান, তাঁর যখন প্রথম সন্তান জন্মায় তখনও তিনি তাকে স্তন্যপান করাতে গিয়ে এই ম্যাসটাইটিসের সমস্যায় পড়েছিলেন।
ম্যাসটাইটিস হল এমন এক শারীরিক সমস্যা যেখানে স্তন্যদুগ্ধ যে ছিদ্র দিয়ে বার হয় তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে দুধ বার হতে চায়না। সাধারণত স্তন্যগ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলেই এমনটা ঘটে। স্তনে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়।
প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বিষয়টি চিকিৎসকের পরামর্শে মিটলেও একই সমস্যা শুরু হয় দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও। যন্ত্রণা যেদিন শুরু হয় সেদিন ক্রিস্টেন স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে এমন জায়গায় ছিলেন যে তখনই চিকিৎসকের কাছে পৌঁছনো সম্ভব ছিলনা।
এদিকে দুধ ঠিকমত না আসায় সন্তানও স্তন্যপান করতে চাইছিল না। অগত্যা তিনি স্বামীকে স্তন্যপান করান। যাতে তাঁর স্তন্যদুগ্ধ বার হওয়ার ছিদ্রগুলি ফের খুলে যায়।
বেশ কিছুক্ষণ অভিনেতা স্বামী ড্যাক্স শেফার্ড ক্রিস্টেনের স্তন্যপান করে সেই ছিদ্রগুলি খুলে যেতে সাহায্য করেন। ফলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান ক্রিস্টেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা