Kolkata

দুর্ঘটনা নয়! ছোট্ট ঋজুকে হত্যা করেছে তার বৌদি?

Published by
News Desk

গত শুক্রবার বিকেলে যখন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ঋজু দাসের দেহ তাদের বাথরুমেরই একটি ড্রাম থেকে উদ্ধার হয় তখন বাড়ির সকলেরই মনে হয়েছিল এ এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঋজুর অভ্যাস ছিল ড্রামের মধ্যে ঢুকে স্নান করার। সেটাই করতে গিয়ে হয়ত সে জলে ডুবে যায়। কিন্তু সেই ছবি বদলে গেল মঙ্গলবার সকালে।

মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ঋজুর পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকেই ঋজুর বৌদি ভাবলেশহীন হয়ে কাটাচ্ছিল। শোকের বাড়িতে তা কয়েকজনের নজরেও পড়েছিল। কিন্তু অত মাথা ঘামাননি কেউ। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর থেকে বৌদি বারবার ময়না তদন্তের রিপোর্টের কথাও জিজ্ঞেস করছিল। সেটাও অনেকের অবাক লাগে। মঙ্গলবার সকালে যখন সেই বৌদিকে নিয়ে তার স্বামী পুলিশের কাছে গেলেন তখন সকলের কাছে পরিস্কার হয়েছে বিষয়টা। পরিবারের দাবি, ঋজুর বৌদি নাকি তার স্বামীর কাছে স্বীকার করেছে যে সেই ঋজুকে ড্রামে চুবিয়ে হত্যা করেছে। সেকথা জানার পরই বৌদিকে নিয়ে পুলিশের কাছে যান মৃত ঋজুর দাদা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ঋজু যখন শুক্রবার ড্রামে ঢুকে স্নান করছিল তখন তার বৌদি ড্রামের ঢাকনা চেপে লাগিয়ে দেয়। ড্রামের মধ্যেই ছটফট করে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় ছোট্ট ছেলেটার। তারপর বেশ কিছুক্ষণ পর ড্রামের ঢাকনা খুলে দেয় সে। পরে ঋজুর মা ওই ড্রামের জলেই ঋজুকে ভাসতে দেখে দুর্ঘটনা বলে মনে করেন।

কিন্তু কেন এমন কাজ সে করল? পরিবারের দাবি, দাদা-বৌদির প্রতি নয়, ঋজুর প্রতি আকর্ষণ বেশি ছিল তার বাবা মায়ের। সেটাই তার বৌদি সহ্য করতে পারত না। তা থেকে হয়তো তার মধ্যে একটা রাগের জন্ম হয়ে থাকতে পারে। ঈর্ষার জন্ম হয়ে থাকতে পারে। আর সেখান থেকেই একেবারে হত্যার রাস্তায় হাঁটে সে। তবে পুরোটাই এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। অভিযুক্ত বৌদিকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

Share
Published by
News Desk
Tags: Kolkata News

Recent Posts