Kolkata

বারান্দার বাইরে ঝুলছে বৃদ্ধার দেহ, ভয়ংকর দৃশ্যে এলাকায় চাঞ্চল্য

Published by
News Desk

দমদম নাগেরবাজার এলাকায় এক বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। অভিযোগ, বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। আর সেই খুন করেছে তাঁর নিজের লোক। মৃতার প্রতিবেশিদের দাবি, শনিবার সকালে গোলাপি-নীল আবাসনের উপরের তলায় চোখ পড়তেই থ হয়ে যান সকলে। দেখেন, ৪ তলার ঝুলবারান্দা থেকে ঝুলছে এক বৃদ্ধার দেহ। বৃদ্ধার গলায় লাগানো কাপড়ের ফাঁস। পা এসে ঠেকেছে ৩ তলার কার্নিশে। বৃদ্ধার দুটো পা মোড়ানো। শনিবার সাতসকালে এমন ভয়ানক দৃশ্য চোখে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দমদম থানার পুলিশ এসে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আবাসন থেকে আটক করা হয় মৃতার ছেলে ও অন্যান্য আত্মীয়দের।

অভিযোগ, ৮০ বছরের বৃদ্ধা নীলাঞ্জনা দত্তের দেহ ঘরের ঝুলবারান্দা দিয়ে ঝুলছে অথচ সেই বিষয়ে নাকি কিছুই জানতেন না বৃদ্ধার ছেলে। তার দাবি, রোজ সকালে কাজের মেয়ে এলে দরজা খুলে দেন তার মা। শনিবার সকালে মা দরজা না খোলায় তিনিই দরজা খুলে দেন। তারপরে তিনি নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশিদের থেকে মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি। মৃতার ছেলের আরও দাবি, তার মা হতাশাজনিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন। সে কথা তিনি একটি সুইসাইড নোটে লিখেও দিয়ে গেছেন।

যদিও বৃদ্ধার আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ এলাকাবাসী। তাঁদের পাল্টা দাবি, যদি সত্যি বৃদ্ধার আত্মহত্যা করার থাকত তাহলে তিনি ঘরেও আত্মঘাতী হতে পারতেন! একজন অশীতিপর বৃদ্ধা ঝুলবারান্দা টপকে আত্মহত্যা করতে যাবেন কেন? আর যদি চানও, তাহলেও কি তাঁর পক্ষে বারান্দা থেকে কার্নিশে নেমে এত কসরত করে আত্মহত্যা করা আদৌ সম্ভব? তাঁদের আরও প্রশ্ন বৃদ্ধা যদি সত্যি আত্মহত্যা করে থাকেন, তাহলে তাঁর পা কেন নিচের কার্নিশে ঠেকে ছিল? পায়ের তলায় সাপোর্ট পেলে তো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশও।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts