Kolkata

পণ ও পুত্রসন্তান দিতে না পারায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ

Published by
News Desk

স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোক মেটাতে পারেনি পণের দাবি। তার উপরে পরপর ৪ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এই ‘অপরাধ’-এ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল রাজারহাটে। গত শুক্রবার বিকেলে প্রতিবেশিদের থেকে মেয়ে ফাতিমা বিবির উপর শ্বশুরবাড়ির লোকের অত্যাচারের খবর পান ফাতিমা বিবির বাপের বাড়ির লোকজন। সাথে সাথে তাঁরা ছুটে আসেন রাজারহাটের মহেশতলা থানার পানাপুকুর গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। মেয়েকে ঘরের ভিতর অগ্নিদগ্ধ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা।

মৃতার বাড়ির লোকদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকা চেয়ে ফাতিমার উপর নির্যাতন চালাত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা। তার ওপর ফাতিমা জন্ম দেন ৪ কন্যাসন্তানের। প্রথম যমজ মেয়ে ২টি মারা যাবার পর জন্ম হয় আরও ২টি কন্যা সন্তানের। পরে অস্ত্রোপচার করে ফাতিমার সন্তান জন্ম দেওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মৃতার বাড়ির লোক। একে পুত্র সন্তানের মুখ দেখাতে অক্ষম! তার উপর দাবি মত বাপের বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা আনতে না পারা। সব মিলিয়ে ফাতিমার উপর ক্ষোভে ফুঁসছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই প্রতিহিংসা মেটাতেই ফাতিমাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ মৃত বধূর বাড়ির লোকের।

প্রতিবেশিদের দাবি, যখন ফাতিমার উপর নির্যাতন চলছিল তখন তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার দিনই মৃত গৃহবধূর স্বামীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাড়ির লোক। শুক্রবার রাতেই ফেরার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts