অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, ছবি - আইএএনএস
তাঁর ইচ্ছা না থাকলেও তাঁর বাড়িতে জোর করে টাকা রাখতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যে আলমারিতে টাকা রাখা হত তার চাবি তাঁকে দেওয়া হতনা। তাঁর ঘরের আলমারির চাবি তাঁর কাছেই থাকত না।
এমনকি বেলঘরিয়া হোক বা টালিগঞ্জ, তাঁর ফ্ল্যাটের যে ঘরে টাকার আলমারি থাকত সে ঘরে ঢোকা মানা ছিল। কড়া ভাষায় তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই আলমারি খোলার যেন কোনও রকম চেষ্টা অর্পিতা না করেন।
ইডি আধিকারিকদের কাছে এসব তথ্য দিয়ে মুখ খুলে দিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর ২টি ফ্ল্যাটেই পার্থবাবু সপ্তাহে ১ বার বা ২ সপ্তাহে ১ বার আসতেন। সঙ্গে থাকতেন এক অপরিচিত লোক।
অর্পিতার ফ্ল্যাটে আসার পর পার্থবাবুরা টাকা, সোনা বা দলিল রাখা আলমারির ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিতেন। সেখানে অর্পিতারও প্রবেশের অধিকার ছিলনা। এসব কথা ইডি আধিকারিকদের অর্পিতাই জানিয়েছেন।
ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অর্পিতা এসব কথা স্বীকার করার সময় বারবার কেঁদে উঠছিলেন। তিনি বলছিলেন যে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
এখন ইডি আধিকারিকরা জোর দিচ্ছেন সেই লোকটিকে খুঁজে বার করতে যিনি পার্থবাবুর সঙ্গে ফ্ল্যাটে আসতেন। যার উত্তর একমাত্র পার্থবাবুর কাছেই আছে বলে জানাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধারের পর গত বুধবার রাতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২০ কোটি টাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা