ফাইল : দিল্লিতে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, ছবি - আইএএনএস
রাজ্যে প্রায় লকডাউন ঘোষণার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গত একদিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমিত গত দিনের সাপেক্ষে সামান্য কমেছে। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ২ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ১৩২ জনে।
এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় আড়াই হাজার কমেছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ হাজার ৫৩টি। রাজ্যে এদিনও কমেছে অ্যাকটিভ রোগী। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪৫৪ জনে।
এদিন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু গত দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু মৃত্যু ১০০-র ওপরই ঘুরপাক খাচ্ছে। একটু কমছে তো ফের একটু বাড়ছে। সংক্রমণ কমার মত মৃত্যুও ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী নয়। যা অবশ্য চিন্তার।
গত দিনের তুলনায় এদিন ১১ জন কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৫৯ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম ২ করোনা বিধ্বস্ত জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শুধু কলকাতায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এছাড়া হাওড়ায় ৬ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৬ জন ও নদিয়ায় ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
৪ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলিতে মারা গেছেন ৩ জন করে মানুষ। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ১৫ হাজার ৮৮২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪১৯ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৩৭ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা