সিবিআই দফতরের বাইরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি - আইএএনএস
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতের আবেদন এদিন খারিজ হয়ে যায় আদালতে। এদিন দিনভর নিজাম প্যালেসেই ঠায় বসে থাকার পর বিকেলে এঁদের শুনানি শেষ হতেই নিজাম প্যালেস ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সকালে কার্যত আচমকাই এই ৪ নেতাকে বাড়িতে থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নারদ মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
খবর পেয়েই নিজাম প্যালেসে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সোজা সিবিআইয়ের ডিআইজি-র ঘরের সামনে গিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে সিবিআইকে।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের কার্যত লকডাউন পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করেই রাস্তায় নামেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়।
এরমধ্যে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একটি দল রাজভবনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ হয় নিজাম প্যালেসেও। নিজাম প্যালেসের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে সিআরপিএফ। পরে পুলিশ ব্যারিকেড করে ঘিরে দেয় গেট।
এদিনের এই গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এই গ্রেফতারিতে সায় দেওয়ায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি দাবি করেন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হার সহ্য করতে পারছেন না রাজ্যপাল। তাই এসব করছেন। তৃণমূলের আর এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেন রাজ্যপাল এই গ্রেফতারিতে সবুজ সংকেত দিতেই পারেননা।
রাজ্যপাল বেআইনি কাজ করেছেন বলেও দাবি করেন সুখেন্দুশেখরবাবু। এদিকে বিজেপি জানিয়েছে এর পিছনে তাদের কোনও হাত নেই। আইন আইনের পথে চলেছে।