করোনা ভাইরাস, প্রতীকী ছবি
কলকাতা : জানুয়ারির শেষে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ২০০-র ঘরেই থাকছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই তা ২০০-র নিচে নেমে যায়। শেষ কয়েকদিনে তা ২০০-র নিচেই থাকছিল। তবে আগের দিন সংক্রমিতের সংখ্যা ফের ২০০ পার করে। যা এদিন আবার কমেছে। নেমেছে ২০০-র নিচে।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৮ জন। নমুনা পরীক্ষা আগের দিনের চেয়ে হাজার দুয়েক বেশি হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ হাজার ১১০টি।
রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ২২০ জন। এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৩৩ জনে।
জানুয়ারির শেষের দিকের একটা বড় সময় ১০-এর নিচেই থেকেছে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু। এরমধ্যে তা ১ জনেও নেমেছিল। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
আগের দিনের চেয়ে ১ জন কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২২৯ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তা হয়েছে আগের দিনের মতই ২টি জেলায়। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
প্রসঙ্গত এই ২ জেলাই এ রাজ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। রাজ্যের আর কোনও জেলায় মৃত্যুর খবর নেই। যা অবশ্যই রাজ্যবাসীকে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে।
ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যু ও সংক্রমণ সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটাই বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২৬৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৫৮ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে এদিন ৯৭.৪৭ শতাংশে পৌঁছে গেল রাজ্যে সুস্থতার হার। রাজ্যে সুস্থতার হার প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে চলেছে। ক্রমশ কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যেও টিকাকরণের কাজ চলছে। যা অবশ্যই অনেকটা স্বস্তির কারণ হচ্ছে টিকা গ্রহীতাদের জন্য। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা