Kolkata

বামেদের নবান্ন অভিযানে ঝরল রক্ত, ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক

বাম যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কলকাতার ধর্মতলা চত্বর। চলল জল কামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ। প্রতিবাদে বন্‌ধের ডাক দিল বামফ্রন্ট।

Published by
News Desk

কলকাতা : বেকারদের চাকরি, রাজ্যে শিল্প স্থাপন সহ বেশ কিছু দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। যার মধ্যে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনও ছিল।

মিছিল দুপুর আড়াইটে নাগাদ এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছে পৌঁছয়। সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড করেই রেখেছিল। ছাত্ররা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে তাঁদের রুখতে প্রথমে জলকামান ছোঁড়ে পুলিশ।

তাতে কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। তারপর শুরু হয় আন্দোলনকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়া হয়। পাল্টা পুলিশের দিকে ধেয়ে আসেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর বৃষ্টি।

পুলিশের প্রবল লাঠিচার্জে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আন্দোলনকারীরা এসএন ব্যানার্জি রোডের দিকে চলে আসেন। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।

এদিন পুলিশের প্রবল প্রতিরোধের মুখে বেশ কয়েকজন ছাত্রের মাথা ফেটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। অন্য ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় পুলিশও।

বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় শ্বাসকষ্ট নিয়েও বেশ কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক ছাত্রছাত্রী রাস্তায় প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁদের মাথায় জল দিয়ে হাওয়া করে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন অন্য আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরাই।

এদিন শুধু ডোরিনা ক্রসিং বলেই নয়, মৌলালির মুখেও তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানেও পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

বিধ্বস্ত এক আন্দোলনকারী, ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @cpimwbpc

শিয়ালদহ চত্বর জুড়ে এই পরিস্থিতিতে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ অবশ্য একঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় যান চলাচল।

এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ ডাকা হয়েছে। এদিন যেভাবে তাঁদের নবান্ন অভিযান-কে আটকানো হয়েছে তার প্রবল সমালোচনা করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। যতজন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের চিকিৎসার খরচ রাজ্যসরকারকে বহন করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।

Share
Published by
News Desk
Tags: Kolkata News

Recent Posts