ফাইল : পাটনায় করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, ছবি - আইএএনএস
কলকাতা : নভেম্বর জুড়ে রাজ্যে সংক্রমণ প্রথমে ৪ হাজার ও তারপর তা নেমে সাড়ে ৩ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। দৈনিক মৃত্যুও মূলত ঘুরেছে ৫০-এর ঘরেই। ডিসেম্বরে পড়ে ৩ হাজারের ঘরেই ছিল সংক্রমণ। পরে তা নেমে আসে ২ হাজারি ঘরে। প্রতিদিন সামান্য করে হলেও কমছে সংক্রমণ। গত একদিনে সংক্রমণ দেড় হাজারে নেমে এসেছে।
কয়েকমাস পর দেড় হাজারে নামল একদিনে সংক্রমণ। রাজ্যে গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৫১৫ জন। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষাও অবশ্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ৪২২টি।
গত দিনের তুলনায় এক ধাক্কায় ১১ হাজার কমেছে নমুনা পরীক্ষা। রাজ্যে এদিন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৪৩ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯০৩ জনে।
নভেম্বরে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ঘোরাফেরা করেছে মূলত ৫০-এর ঘরে। ডিসেম্বরের শুরুতেও সেই ধারাই বজায় ছিল। কিন্তু এখন তা ৪০-এর ঘরেই ওঠানামা করছে।
গত একদিনে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে ১ জন বেশি মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪০১ জন।
গত একদিনে যে ৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ৯ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৫ জন, হুগলিতে ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২ জন এবং নদিয়ায় ২ জনের প্রাণ গেছে করোনায়।
এছাড়া জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা গত দিনের চেয়ে সামান্য কমেছে। ২ হাজার ৩৪২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫.১১ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা