ফাইল : কলকাতায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ, ছবি - আইএএনএস
কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ৪ দিনে অবশ্য ৩ হাজারের ঘর থেকে নিচেই থেকেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৯৭ জন। তার আগের দিনের চেয়ে ২৩ জন বেশি। ফলে এটা বলাই যায় যে রাজ্যে নতুন করে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা আগের দিনের সঙ্গে সমান রয়ে গেছে। অথচ গত একদিনে তার আগের দিনের তুলনায় ২ হাজার বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত একদিনে রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই প্রথম একদিনে ৪২ হাজার পার করল নমুনা পরীক্ষা। রাজ্যে ৪২ হাজার ৪৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত একদিনে। রাজ্যে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দেড় লক্ষ পার করে গেছে। মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৭২ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৭০৯ জন। আগের দিন ছিল ২৬ হাজার ৯৫৪ জন। অর্থাৎ কমেছে অ্যাকটিভ রোগী। নতুন পাওয়া যাওয়া রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫৩ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আগের দিনের তুলনায় ২ জন কম। এদিন রাজ্যে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার পার করে গেছে। রাজ্যে এখন করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৭ জন। গত একদিনে যে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। গত একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১০ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হুগলিতে ৭ জন এবং হাওড়ায় ৫ জন মারা গেছেন। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া ও দার্জিলিংয়ে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। বাঁকুড়ায় ২ দিন আগে প্রথম করোনায় মৃত্যুর খবর মেলে। তারপর ৩ দিনের মধ্যে সেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত ৭ দিনই ৩ হাজার পার করেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে ৩ হাজার ১৮৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে এখন করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৬ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। রাজ্যে এদিন সুস্থতার হার ৮০ শতাংশের গণ্ডি পার করেছে। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮০.২৮ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা