জনতা কার্ফুর দিন সুনসান কলকাতার রাজপথ, ছবি - আইএএনএস
সোমবার সকাল থেকে বাজারে প্রবল ভিড় নজর কেড়েছে। রাস্তাতেও মানুষ বেরিয়েছিলেন। শিক্ষকদের বার হতে হয়েছিল মিড ডে মিলের চাল, আলু বিতরণের জন্য। কিছু মানুষকে অফিসেও একবারের জন্য যেতে হয়। কিন্তু সোমবার বেলা যত গড়িয়েছে রাস্তা তত সুনসান চেহারা নিয়েছে। কিছু সরকারি বাস বাদে বাস ছিলনা রাস্তায়। তবে বিভিন্ন রুটে অটো কিছু ছিল। আর ঠিক বিকেল ৫টা বাজতেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন।
রাস্তায় নেমে পড়ে পুলিশ। লকডাউনে যাতে কেউ রাস্তায় না থাকেন সেকথা পুলিশের তরফে জানানো হয়। আগেই কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে লকডাউন যাতে ঠিকঠাক মান্য হয় সেদিকে নজর রাখতে। কেউ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ নিতেও বলেছে কেন্দ্র। তবে লকডাউনের আগেই এদিন কলকাতা সহ যেসব জায়গায় লকডাউন ঘোষণা হয়েছে সেসব এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
পশ্চিমবঙ্গে এদিন বিকেল ৫টায় এই যে লকডাউন শুরু হল তা ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্য জায়গায় অবশ্য ৩১ মার্চ পর্যন্তই লকডাউন থাকছে। আবার বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে এটা ১৪ দিনের জন্য হওয়া প্রয়োজন। এদিকে লকডাউন আগেই হয়েছিল পঞ্জাব জুড়ে। কিন্তু লকডাউন নিয়ে তাঁর রাজ্যের মানুষের মধ্যে ঢিলেঢালা মনোভাব দেখে কার্ফু জারি করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা