কলকাতায় সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল, ছবি - আইএএনএস
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ যখন বিমানবন্দরে নামছেন তখন এয়ারপোর্ট ১ নম্বরে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এখান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজির হন রাজারহাটে এনএসজি-র একটি অনুষ্ঠানে। সেসময় রাজারহাটেও বিক্ষোভ দেখানো হয় বাম-কংগ্রেসের তরফে। এদিকে অমিত শাহ শহরে পৌঁছেছেন এই খবরের পর কলকাতা জুড়েই ছড়াতে থাকে বিক্ষোভ আন্দোলন। বাম-কংগ্রেসের তরফে জানানোই হয়েছিল অমিত শাহ কলকাতায় এলে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়বেন। তেমনই হয় এদিন। বিভিন্ন রাস্তায় অমিত শাহকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। কালো পতাকা নিয়ে হাজির হন বিক্ষোভকারীরা।
শ্যামবাজার, কলেজ স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, মৌলালি, এন্টালি, বেকবাগান সর্বত্র বিক্ষোভ ছড়াতে থাকে। রাস্তায় লেখা হয় নো এনআরসি, নো সিএএ। লেখা হয় গো ব্যাক অমিত শাহ। কুশপুতুল দাহ করা হয়। শহিদ মিনারে যেখানে অমিত শাহর সভা করার কথা সেখান থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গ্র্যান্ড হোটেলের সামনেও পৌঁছে যান বিক্ষোভকারীরা। সেখানে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। প্রবল ধস্তাধস্তি চলতে থাকে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর জন্য। মোতায়েন ছিলেন প্রচুর পুলিশ।
শহিদ মিনারে গাড়িতে করে রাজ্যের বিভিন্ন কোণা থেকে এদিন হাজির হন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে জমায়েত করেন তাঁরা। অমিত শাহর জনসভায় হাজির হন। ২ যুযুধান পক্ষে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল কলকাতা জুড়ে। বিশেষত ধর্মতলা চত্বর পুলিশে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। ধর্মতলায় তখনও অমিত শাহ এসে পৌঁছননি। কিন্তু বিজেপি নেতারা মঞ্চ থেকে বক্তৃতা শুরু করে দেন। এই জনসভা থেকেই কার্যত পুর ভোটের প্রচার শুরু করে দিল বিজেপি।