Kolkata

বৃদ্ধ-বৃদ্ধা খুনের রহস্যভেদ করল পুলিশ

Published by
News Desk

নেতাজি নগরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। বৃদ্ধ দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় তাঁদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে আসা হামরুজ আলমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাকে বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে খুন ও লুঠের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ৩৮ বছরের ওই রাজমিস্ত্রি। খুন ও লুঠের পর সে কলকাতা ছেড়ে তার বাড়ি কাটিহারে পালিয়ে আসে বলেও জানিয়েছে হামরুজ।

নেতাজি নগরে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। একাই থাকতেন। স্বামী দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৮০ বছর। স্ত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৭২। বাড়িতে ছিল কাজের লোক। এক ব্যক্তি বৃদ্ধকে হাঁটাতে আসতেন। প্রতিবেশিরা দম্পতিকে রাস্তায় হাঁটতে দেখতেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশি হিসাবে কথাও হত। ওই দম্পতির সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন গত ৩০ জুলাই, মঙ্গলবার সকালে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।

ভিতরে সিঁড়ির ধার থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয় দোতলার ঘর থেকে। কীভাবে খুন, কেন তাঁদের খুন করা হল তা খুব পরিস্কার না হলেও পুলিশের প্রাথমিক ভাবে ধারনা হয় লুঠের জন্য খুন হয়ে থাকতে পারে। কারণ ঘরের আলমারি ভাঙা ছিল। তছনছ অবস্থায় ছিল একাধিক ঘর। তবে স্থানীয়দের কয়েকজনের দাবি ছিল ওই দম্পতির ওপর প্রোমোটারদের চাপ ছিল। কাজের লোকজনও পুলিশের কাছে জানিয়েছেন সেকথা। প্রোমোটাররা ওই নিঃসন্তান দম্পতির বিশাল বাড়িটি দখলের চেষ্টা করছিল। সেজন্য চাপও আসত তাঁদের ওপর। এখন প্রমোটাররাই এমন কাণ্ড ঘটাল, নাকি অন্য কিছু সেই তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশকে এই তদন্ত গুরুত্বের সঙ্গে করার নির্দেশ দেন। শহরের বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সুরক্ষার দিকেও পুলিশকে নজর দিতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা তদন্তে নামেন। তারপরই তাঁরা জানতে পারেন এই ঘটনার পিছনে রয়েছে রাজমিস্ত্রির হাত। অবশেষে তাকে কাটিহার থেকে পাকড়াও করল পুলিশ।

Share
Published by
News Desk
Tags: Kolkata News