National

দেশে প্রথম, কাজিরাঙায় চোরাশিকার রুখতে ব্যবহার হবে বিশেষ ফোন

কাজিরাঙায় চোরাশিকার বন্ধ করা যাচ্ছেনা। লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে চোরাশিকার। তা বন্ধ করতে এবার বিশেষ ধরনের ফোন ব্যবহার করতে চলেছেন কর্মীরা।

Published by
News Desk

কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে গণ্ডার যেমন রয়েছে তেমনই এখানে রয়েছে বাঘ। বাঘের নিশ্চিন্ত আশ্রয় তৈরি করতে এখানে রয়েছে একটি টাইগার রিজার্ভ। এই নিয়ে কাজিরাঙার বিশাল এলাকা।

গহন অরণ্য আর পাহাড়ে ঘেরা চোখ জুড়োনো এই জঙ্গলে কিন্তু ওত পেতে থাকে চোরাশিকারিরাও। তাদের গুলিতে প্রাণ যায় নিরীহ প্রাণিদের।

সুবিশাল এলাকা জুড়ে বনাঞ্চল, পাহাড়, দুর্গম এলাকা, এমন জায়গায় নজরদারি করার সময় প্রয়োজন উন্নত যন্ত্র ও যোগাযোগ শক্তিশালী হওয়া। সেকথা মাথায় রেখে এবার অন্য ফোন ব্যবহার করা শুরু হল অভয়ারণ্যের নিরাপত্তায়।

২ হাজার ৪০০-র ওপর গণ্ডার সহ বহু বাঘের বাস এই কাজিরাঙায়। এখানে ৬টি রেঞ্জে ছড়িয়ে রয়েছেন বন আধিকারিকরা।

জঙ্গলের মধ্যে নজরদারির সময় তাঁদের যদি কোনও সাহায্য বা কোনও খবর দেওয়ার দরকার পড়ে বা সাহায্যের দরকার পড়ে তাহলে সেখান থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করা মুশকিল। কারণ জঙ্গলে মোবাইলের সিগনাল পাওয়াই দুষ্কর।

ওয়্যারলেসও এখানে ব্যবহার হয়না। তাই এবার জঙ্গলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ১০ জন আধিকারিকের হাতে ১০টি স্যাটেলাইট ফোন তুলে দিলেন অসমের মুখ্যসচিব।

ভারতে এই প্রথম কোনও জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানকার আধিকারিকদের হাতে স্যাটেলাইট ফোন তুলে দেওয়া হল।

ভারতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা বিষয়ক কারণ বা দুর্যোগ মোকাবিলার সময় কেবল সীমিত সংখ্যক আধিকারিকেরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণ মানুষের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে কাজিরাঙায় স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার যুগান্ত তৈরি করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk