ঘুম, প্রতীকী ছবি
ঘুমের দেশের কথা কোনও রূপকথা নয়। এখানে সত্যিই মানুষ যখন তখন ঘুমিয়ে পড়েন। নিজের ইচ্ছায় নয়। ঘুম এসে যায়। আর যখন ঘুম আসে তখন তাঁরা কিছু বোঝার আগেই যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুম বলে ঘুম! ১ দিন যায়, ২ দিন যায়, ঘুম ভাঙে না। অনেক সময় দেখা যায় এক সপ্তাহও কেটে গেছে ঘুমিয়ে। তারপর একদিন ঘুম থেকে ফের জেগে ওঠেন তাঁরা।
যদিও অনেকের দাবি তাঁরা যখন দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে কাটানোর পর জেগে ওঠেন তখন সবকিছু মনেও পড়তে চায়না। মাথায় একটা ব্যথাও হয়।
এটা কিন্তু কোনও বিশেষ বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এ গ্রামের সব বয়সের সব বাসিন্দার ক্ষেত্রেই ঘটে এমনটা।
২০১৩ সালের আগে এ গ্রামে কিন্তু মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। এই ঘুমের রোগ তাঁদের ছিলনা। কিন্তু ২০১৩ সালের পর থেকে কাজাখস্তানের কালাচি গ্রামের বাসিন্দারা এমন এক ঘুমের জগতে যখন তখন হারিয়ে যান।
বিজ্ঞানীরা এর কারণ খুঁজতে গিয়ে কার্যত হিমসিম খান। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেননা এই আজব ঘুমের কারণটা কি?
এদিকে এরমধ্যে এই ঘুমের ধাক্কায় অনেক গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে পরিবার নিয়ে চলে যেতে থাকেন অন্যত্র। আবার অনেক গ্রামবাসী ঘুম পেলেও নিজের ভিটে ছেড়ে যেতে চাননি।
বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টার পর অবশেষে এই ঘুমের কারণ খুঁজে পান। তাঁরা জানান, এই গ্রামের কাছেই রয়েছে একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউরেনিয়াম খনি।
এই খনির উপরিভাগে যে জমি রয়েছে সেখান থেকে কার্বন মোনোক্সাইড বাতাসের সঙ্গে মিশে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
যার প্রভাবে কালাচি গ্রামের মানুষ এভাবে যখন তখন ঘুমিয়ে পড়েন। কিছু মানুষ কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও এখনও এই ঘুমের গ্রামেই বসবাস করেন।