World

প্রথম এভারেস্ট জয়ের ঐতিহাসিক মুহুর্তের শেষ সাক্ষী চলে গেলেন অন্য লোকে

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে প্রথমবার কেউ চড়েছিলেন ১৯৫৩ সালে। সেই ঐতিহাসিক দলের শেষ জীবিত সদস্যও চলে গেলেন। শেষ হল একটি বৃত্তের।

১৯৫৩ সালের ২৯ মে। দিনটি ইতিহাসের পাতায় চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ওদিনই প্রথমবার এভারেস্টের চুড়ো ছুঁয়েছিলেন এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে। সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের অভিযাত্রী দলের সদস্যরা প্রত্যেকেই বীরের সম্মানের ভাগীদার।

৩৫ জন সদস্যের একটি দল এডমন্ড হিলারির নেতৃত্বে এভারেস্ট জয় করতে এভারেস্টে চড়া শুরু করে। এরপর বিভিন্ন ক্যাম্প তৈরি করে সেখানেই একটি করে দল থেকে যায়। বাকিরা আরও উপরে উঠতে থাকেন।

এভারেস্টের চুড়ো ছোঁয়ার ঠিক আগে যে ক্যাম্পটি তৈরি হয় সেই শেষ ক্যাম্পে ৩ জন শেরপা পৌঁছেছিলেন। তাঁরা সেখানেই থেকে যান। কেবল এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে চুড়োর দিকে পা বাড়ান। তৈরি করেন ইতিহাস।

এই যে শেষ ক্যাম্পে ৩ জন শেরপা পৌঁছেছিলেন তাঁদের ১ জন ছিলেন কাঞ্চা শেরপা। যাঁকে তেনজিং নোরগে ছেলের মত ভালবাসতেন। এভারেস্টের চুড়ো না ছুঁলেও কাঞ্চা শেরপা ছিলেন প্রথম এভারেস্ট জয়ের ঐতিহাসিক দলের সদস্য যিনি শেষ ক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিলেন।

তখন তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর। এরপর ওই দলের এক এক করে সকলেই পরলোক গমন করেছেন। দলের শেষ সদস্য হিসাবে বেঁচে ছিলেন কাঞ্চা শেরপা। এবার তিনিও চলে গেলেন। আর এভারেস্ট জয়ের প্রথম দলের কেউ বেঁচে রইলেন না।

কাঠমান্ডুতে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কাঞ্চা শেরপা। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসাবে মেনে নিচ্ছেন পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ।

কাঞ্চা শেরপার একটা ক্ষোভ ছিল এভারেস্টে অতিরিক্ত ভিড় ও এভারেস্টকে দূষিত করা নিয়ে। শেরপাদের কাছে পাহাড় দেবীর মতন। তাঁকে কলুষিত করা যায়না।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *