Let’s Go

ভূতেরা কি তৈরি করেছিল এই মন্দির, আজও মেলেনি উত্তর

এক রাতের মধ্যে ভূতেরা বানিয়েছিল এই মন্দির। সকাল হয়ে যাওয়ায় মন্দির শেষ করতে পারেনি তারা। বিখ্যাত এই মন্দির তবে থেকেই অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে।

Published by
News Desk

এ মন্দিরের পরতে পরতে রহস্য। মানুষের মুখে মুখে ঘোরে রোমহর্ষক কাহিনি। এমন এক মন্দির যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছেই এক কৌতূহল। মন্দিরটির দিকে চাইলে শুধুই অবাক হয়ে যেতে হয়।

কথিত আছে ১৫০ ফুট উঁচু এই শিব মন্দির তৈরি হয়েছিল এক রাতের মধ্যে। তাও আবার তা কোনও মানুষের হাতে তৈরি নয়। তৈরি করেছিল ভূতেরা।

রাতভর ভূতেরা এই মন্দির নির্মাণ চালানোর পর যখন সূর্য পূব আকাশে উঁকি দেয় তখন মন্দির অসমাপ্ত রেখেই ভূতেরা চলে যায়। এখনও এই মন্দিরের দিকে চাইলেই বোঝা যায় যে মন্দিরটি সম্পূর্ণ নয়। অনেক জায়গা ফাঁকা রয়ে গেছে।

মন্দিরটির আরও একটি অদ্ভুত বিশেষত্ব হল এটি পাথরের ওপর পাথর বসিয়ে নিছক ভারসাম্য বজায় রেখে তৈরি। কোনও জোর নেই, কোনও আঠা জাতীয় কিছু ২টি পাথর জোড়া লাগাতে কাজে লাগেনি।

দেখে মনে হবে একটা ধাক্কা দিলেই পাথরগুলো হুড়মুড় করে পড়ে যাবে। কিন্তু কেবল একটা পাথরের ওপর আর একটা পাথর রেখে তৈরি এই মন্দির একবিংশ শতাব্দী থেকে এখনও পর্যন্ত বহু ঝড় ঝাপটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলেও দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। কেবল চতুর্দশ শতাব্দীতে এক ভয়ংকর ভূমিকম্পে মন্দিরের কিছু অংশ নষ্ট হয়।

কাকনমঠ মন্দির, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

এই মন্দির আরও অবাক করে তার পাথরের জন্য। যে পাথর ওপর ওপর রেখে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে তা ওই অঞ্চলের বহু দূর দূর পর্যন্তও পাওয়া যায়না।

আপাতত এএসআই এই মন্দিরের রক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। যদিও ভূতের তৈরি মন্দির বলে স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, ইতিহাস অন্য কথা বলে।

মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার সিহোনিয়া এলাকায় একাদশ শতাব্দীতে খুশওয়া বংশের রাজত্ব ছিল। তাদের রাজা কীর্তিরাজের স্ত্রী কাকনবতী ছিলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত। তাঁর শিবভক্তি দেখে রাজা কীর্তিরাজই এই মন্দির নির্মাণ করেন।

কিন্তু এমনভাবে পাথরের ওপর পাথর রেখে এই কাকনমঠ মন্দির তৈরি হয়েছে যে এখনও এই মন্দিরে হাত দিতে ভয় পান স্থাপত্যবিদরাও। আজও এই মন্দির এক রহস্য হয়েই থেকে গেছে।

Share
Published by
News Desk