State

বাতিল নয়, জয়দেব কেন্দুলি মেলা হবে, জানিয়ে দিলেন বিধায়ক

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এ বছর সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হয়েছিল জয়দেব কেন্দুলি মেলা। কিন্তু এদিন স্থানীয় বিধায়ক জানিয়ে দিলেন মেলা হবে।

Published by
News Desk

গঙ্গাসাগর মেলা হলেও এই বাংলার মাটিতেই মকরসংক্রান্তির দিন আরও এক ঐতিহ্যবাহী মেলা কিন্তু বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। বীরভূমের ইলামবাজারের জয়দেব গ্রামে অজয় নদীর ধারে বসা শতাব্দী প্রাচীন জয়দেব কেন্দুলি মেলা এবার হচ্ছেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

জেলা প্রশাসনের সেই ঘোষণা এবার বদলে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক। বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, মেলা বন্ধ থাকছে না। মেলা হবে। তবে তা হবে ছোট আকারে।

কিছু দোকান বসবে। মন্দিরের আশপাশে দোকানপাট বসবে। মেলায় সংক্রমণ বিধি মেনে মানুষজন আসতে পারবেন। বাউলদের আখড়াও পুরো বন্ধ হচ্ছেনা। কয়েকটি আখড়া খোলা থাকবে। তবে তাঁর কথায় এটা পরিস্কার যে মেলা যে আকার নিয়ে হয় তা এবার হচ্ছেনা।

জয়দেব কেন্দুলি মেলা নিয়ে মানুষের মনে একটা আলাদা ভাবাবেগ থাকে। তাতে আঘাত করতে যে তিনি রাজি নন তা এদিন স্পষ্ট করে দেন চন্দ্রনাথ সিনহা।

অজয়ের জলে নিয়ন্ত্রিত বিধি মেনে পুণ্যস্নানও হবে। মন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় বিক্রেতারা। মেলা হলে মানুষ কম হলেও আসবেন। আর তাতে কিছু কেনাবেচা অন্তত হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

গীতগোবিন্দ-এর কবি জয়দেবের জন্মস্থান হিসাবেই এই স্থান পরিচিত। প্রতিবছর এখানে আউল, বাউল, ফকিরদের সমাগম হয়। বাউলদের তীর্থস্থান বলা হয় এই জয়দেব কেন্দুলি মেলার চত্বরকে।

প্রতিবছর জয়দেব কেন্দুলি মেলাতেও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে। ভারতের অন্যতম প্রধান মেলা এটি। অজয় নদের জলে চলে মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নান। সেইসঙ্গে সারারাত ব্যাপী মেলায় যেমন নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বিক্রেতারা ভিড় জমান, তেমনই শত শত আখড়া তৈরি হয় এখানে।

সেখানে দিবারাত্র চলে বাউল গান, কীর্তন। বহু মানুষ বাউল কীর্তনের গানের টানে সারা রাত ধরে অজয়ের ধারের কড়া শীতকে উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়ান তাঁবুতে তাঁবুতে।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts