শিল্পীর কল্পনায় সৌরমণ্ডলে শুক্রগ্রহ, প্রতীকী ছবি
পৃথিবীর প্রতিবেশি ২ গ্রহের একটি যদি মঙ্গল হয় তাহলে অন্যটি শুক্র। এই শুক্রগ্রহটি কার্যত জ্বলছে। এখানে একের পর এক অগ্নুৎপাত হয়ে চলে। চরম উত্তাপ রয়েছে এ গ্রহে। গা জুড়ে গড়ায় লাভা স্রোত।
সেই শুক্রগ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে জাপান ২০১০ সালে একটি যান পাঠায়। নাম আকাত্সুকি। জাপানি ভাষায় যার অর্থ ভোরবেলা। আকাৎসুকি হল জাপানের প্রথম কোনও মহাকাশযান যা অন্য গ্রহের দিকে ছুটে গিয়েছিল।
আকাৎসুকিকে পাঠানো হয় শুক্রগ্রহের চারধারে কক্ষে ঘুরে তাকে সর্বক্ষণ নজরে রাখতে এবং তথ্য পাঠাতে। ২০১০ সালে সেটি পাড়ি দিলেও যান্ত্রিক গোলযোগ কাটিয়ে ২০১৫ সালে সেটি প্রথম শুক্রগ্রহের কক্ষে প্রবেশ করে।
তারপর থেকে অবশ্য তা ঠিকঠাকই ঘুরছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু এতদিন পর জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে তাদের সঙ্গে আকাৎসুকি-র সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছেনা।
আকাৎসুকি ছিল এতদিন পৃথিবীর একমাত্র যান যা শুক্রের কক্ষে ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু সেই আকাৎসুকির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া মানে এখন শুক্রের কক্ষে আর একটিও পৃথিবীর যান রইল না। কোনও দেশেরই নয়।
একমাত্র আকাৎসুকি ছিল। যা এখন সংযোগের বাইরে। ফলে শুক্রকে কাছ থেকে চেনার সুযোগ অনেকটাই কমে গেল বিজ্ঞাৱীদের কাছে। যা মহাকাশ গবেষকদের কাছে বড় ধাক্কা।