কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে নভশ্চর, প্রতীকী ছবি
মহাকাশ বিজ্ঞানে একের পর এক বিস্ময় সামনে আসছে। এবার মহাকাশে প্রাণ সঞ্চারও যে অসম্ভব নয় তা প্রমাণ করে দিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখিয়ে দিলেন মহাশূন্যেও প্রাণ বেড়ে উঠতে পারে। আর তা বেড়ে উঠতে পারে স্বাভাবিক নিয়মেই।
জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপকদের একটি দল ইঁদুরের ভ্রূণ মহাকাশে পাঠায়। হিমশীতল অবস্থায় সেটিকে মহাকাশে বিশেষভাবে পাঠানো হয়।
মহাকাশে স্পেস স্টেশনে বিজ্ঞানীরা সেই ভ্রূণকে বড় করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই চেষ্টা সফলও হয়। ইঁদুরের সেই ভ্রূণ বড় হতে থাকে। ভরশূন্য অবস্থায় যে একটি প্রাণ বড় হতে পারে নিজের নিয়মে তা এতদিন ভাবনার অতীত ছিল। এবার সেটাও সম্ভব বলে দেখিয়ে দিল জাপান।
অবশ্যই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এ এক বড় পদক্ষেপ। আগামী দিনে মানুষ পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহ বা উপগ্রহে বসতি স্থাপনের কথা ভাবছে। সেক্ষেত্রে সেখানে প্রাণের সঞ্চারও স্বাভাবিকভাবে হওয়া দরকার। তারই প্রথম পদক্ষেপ সফল করে দেখাল জাপান।
জাপানের বিজ্ঞানীরা এই ভ্রূণটির বড় হওয়া যে মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থাতে খুব স্বাভাবিক হতে পারে তা দেখিয়ে দিলেন। পরে অবশ্য পৃথিবীতেও একই পরীক্ষা করার পর মহাকাশে বড় হওয়া ভ্রূণ এবং পৃথিবীতে একই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ভ্রূণের ফারাক বুঝতে মহাকাশে বড় হওয়া ভ্রূণটিকে ফর্মালিনের সাহায্যে পৃথিবীতে পাঠানো। হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা