একেই বলে গন্ধবিচার, এ দেশে গেলে ভুলেও চড়া গন্ধের সুগন্ধি মাখবেন না
সুগন্ধি তো অনেকেই ব্যবহার করেন। দেহে তৈরি হওয়া কোনও খারাপ গন্ধকে সুগন্ধি চাপা দিয়ে রাখে। তবে একটি দেশে গেলে ভুলেও কোনও চড়া গন্ধের পারফিউম মাখবেন না।

গন্ধের দ্বারা হয়রানি একটি গর্হিত অপরাধ। এমনটা বড় একটা শোনা যায়না। খারাপ গন্ধের কারণ খুঁজে তা পরিস্কার করা যায়। উৎকট গন্ধে হয়রানিও হয়। কিন্তু তা নিয়ে এতটা সংবেদনশীল হন না কেউ।
গায়ে কি ধরনের পারফিউম বা কোনও সুগন্ধি কেউ মাখবেন তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। তা কেউ স্থির করে দিতে পারেনা। কারও পছন্দ একটু চড়া গন্ধের পারফিউম, তো কারও একটু হালকা গন্ধই পছন্দ।
কিন্তু জাপানে বেশি চড়া তো নয়ই, এমনকি একটুও চড়া সুগন্ধি মাখা অলিখিতভাবে নিষেধ। জাপানের মানুষ চড়া গন্ধের পারফিউম কেউ মাখলে সেটা গন্ধ হয়রানি বলে ধরে নেন। যা তাঁরা বরদাস্ত করেননা। এমনকি সুগন্ধি ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগও হয়ে যেতে পারে।
জাপানের মানুষ খুব হালকা গন্ধের সুগন্ধি পছন্দ করেন। এই হালকাটা যত হালকা হয় ততই ভাল। সামান্য চড়া হলেও তাঁরা সেটাকে জাপানি ভাষায় সুমেহারা বা গন্ধ হয়রানি হিসাবে ধরে নেন। জাপানে কেউ হয় খুব হালকা গন্ধের সুগন্ধি মেখে থাকেন। অনেকে আবার কোনও সুগন্ধি মাখাই পছন্দ করেন না।
ভারত থেকে জাপানে যাওয়া এক মহিলা একটু চড়া গন্ধের পারফিউম মাখবার পর তাঁর এক সহকর্মী সেটাকে গন্ধ হয়রানি হিসাবে ব্যাখ্যা করার পর ওই মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত সকলকে সতর্ক করেছেন। জাপানে এলে চড়া গন্ধের পারফিউম ব্যবহার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।