World

সতর্ক করেছিলেন টাইটানিক সিনেমার পরিচালক, না শোনার ফল ভুগল টাইটান

টাইটানিক দেখাতে নিয়ে যাওয়া টাইটান ৫ ধনকুবেরকে নিয়ে দুমড়ে ধ্বংস হয়ে গেল। আর তা জেনেশুনেই হয়েছে, তেমন ইঙ্গিত বেরিয়ে এল টাইটানিকের পরিচালকের বক্তব্যে।

Published by
News Desk

আটলান্টিকের গভীরে শুয়ে আছে বিশ্বের অন্যতম চর্চিত প্রমোদতরী টাইটানিক। জলের ১৩ হাজার ফুট গভীরে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। প্রথম সফরেই ডুবে যাওয়া টাইটানিক আজও মানুষের অন্যতম আকর্ষণ।

টাইটানিক জলের তলায় কেমন ভাবে রয়েছে, তা দেখানোর জন্য একটি সাবমেরিনে করে হাতে গোনা ৫ ধনকুবেরকে নিয়ে জলে নেমেছিল বেসরকারি সংস্থার ডুবোজাহাজ টাইটান।

এই টাইটানিক দেখতে যেতে যে টাকা মাথাপিছু ধার্য ছিল তা সাধারণ মানুষ তো দূর অনেক ধনীর পক্ষেও দেওয়া মুখের কথা নয়। ফলে এই অর্থব্যয়ের ক্ষমতা ধনকুবেরদেরই রয়েছে।

৫ জনকে নিয়ে আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কিন্তু টাইটানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে কার্যত অসীম সমুদ্রে হারিয়ে যায় টাইটান।

যাবতীয় আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই আটলান্টিকে খোঁজ শুরু হয়। এটাও জানানো হয় ৯৬ ঘণ্টা বেঁচে থাকার মত অক্সিজেন ওই যানে মজুত রয়েছে। তাই তার মধ্যেই খুঁজে পেতে হবে যানটিকে। একটা ইঙ্গিতও মেলে।

যেখানে সাবমেরিনটি রয়েছে বলে মনে করে একটি রিমোট চালিত যন্ত্র নামিয়ে দেখার চেষ্টা হয়। সেই যান শেষপর্যন্ত খোঁজ দেয় জলের তলায় টাইটানিকের থেকে ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে ভেঙে পড়ে আছে টাইটান।

৫টি টুকরো হয়ে গেছে যানটির। যানে থাকা সকলের মৃত্যু নিশ্চিত বলেই ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেহ কোথায়? তা কিন্তু পাওয়া যায়নি।

এখন প্রশ্ন উঠছে এই ডুবোজাহাজ কি সত্যিই এই সফরের জন্য তৈরি ছিল? টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন একজন দক্ষ ডুবুরিও। তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ৩৩ বার সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

৩৩ বার ঘুরে আসার অভিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করেই তিনি জানিয়েছিলেন, এই ডুবোজাহাজ আদৌ ওই জলের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ধরে কিনা তা কিন্তু আরও পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে।

ক্যামেরন এটাও জানান যে টাইটানিক এতটাই গভীরে পড়ে আছে যে সেখানে যাওয়াটাই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। নিজে গেলেও তিনি মনে করেন প্রতিবারই সেটা ছিল ঝুঁকির।

টাইটান যে আদৌ জলের অতটা নিচে পৌঁছনোর জন্য তৈরি তা নিশ্চিত ছিলনা বলেই মনে করছেন ক্যামেরন। তিনি যখন সতর্ক করেছিলেন, তখন তা একেবারে উড়িয়ে দিয়ে এভাবে ৫ জনকে নিয়ে ঝুঁকির সফরই কাল হল টাইটানের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে জলের প্রবল চাপ সহ্য করতে না পেরেই দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে যায় টাইটান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts